শিরোনাম
খাগড়াছড়িঃ সংঘাত থেকে শুরু হোক শান্তির পদযাত্রা। আওয়ামী লীগ জাপাসহ ১১ দলের কার্যক্রম বন্ধ চেয়ে রিট মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতির প্রসঙ্গ পার্বত্য টাস্কফোর্সে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা বহাল তবিয়তে কোন জাদুতে সওজের কাজ বাগাল অনভিজ্ঞ এনডিই,প্রাক-অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক পদোন্নতির হাওয়া বইছে প্রশাসনে, এসএসবির টেবিলে ৮৫০ নথি সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুকের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ! বিশ্বের বহু পলাতক স্বৈরশাসক টাকা দিয়ে রাজনীতিতে ফিরেছে,হাসিনার শক্তি পাচারের টাকা পর্যটকদের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাঙ্গামাটি ও ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ি খুলে দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই খরচ হয়ে গেছে ১১৬ কোটি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৭৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালে। এরপর তা বাড়িয়ে করা হয় ২০২৩ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অথচ খরচ হয়ে গেছে ১১৬ কোটি টাকা। এখন এসে আবার নতুন করে প্রকল্প শুরু করতে চায় সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য নেওয়া হয়েছে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) পাসের উদ্যোগ। এই চিত্র তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান আধুনিকায়ন এবং আইসিটিভিত্তিক জ্ঞান বিকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের জুনে ‘আইসিটি’র মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার প্রচলন (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৭২ হাজার ৮৪০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ, ৪৬ হাজার ৩৪০টি মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ তৈরি, ২ হাজার ১২০টি স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ তৈরি, ৬৬৮টি মাল্টিমিডিয়া ট্রেনিং রুম ও কনফারেন্স রুম তৈরি, ৩৩টি সেমিনার আয়োজন করার কথা। কিন্তু প্রকল্প শুরুর সাড়ে ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও অগ্রগতি সামান্যই।

প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১১৬ কোটি টাকা। এই টাকায় কিছু শিক্ষকের প্রশিক্ষণ প্রদান, কয়েকটি সেমিনার আয়োজন এবং কিছু অফিস সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে সবকিছুই (প্রকল্প বাস্তবায়ন) নতুন করে শুরু করা হবে।

ফলে আগে খরচ করা টাকার পুরোটাই গচ্চা যাবে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোরশীদুল হাসান বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়। আগে খরচ করা টাকা পুরোটাই গচ্চা যাবে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এগুলো দেখার দায়িত্ব তো আপনার না। এ ধরনের প্রশ্ন করা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? আমি কেন আপনার সঙ্গে সব কথা বলব?’

আরডিপিপিতে নতুন কী থাকছে?
প্রকল্পটি নতুন করে শুরুর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ দুটোই বাড়ছে। নতুন প্রস্তাবে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়াতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ব্যয়ও বাড়ছে ১১৫ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির কার্যবিবরণীতে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদিত ব্যয়ের অতিরিক্ত ১১৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ টাকায় অত্যাবশ্যকীয় জনবলের বেতন-ভাতা, আউট সোর্সিং ব্যয় এবং মেরামত ও সংরক্ষণ করা হবে।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, আপাতত ১১৫ কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

অফিস সরঞ্জাম লোপাট
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য কেনা বিভিন্ন অফিস সরঞ্জাম লোপাট হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই কম্পিউটার সামগ্রী। যা উঠে এসেছে প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোরশীদুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে।

এ প্রকল্পে কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য আপনার নামে ইস্যুকৃত অফিস সরঞ্জামাদি ও উদ্ধৃত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি আপনি অফিসে জমা দেন নাই। এমতাবস্থায় প্রকল্প কার্যালয়ে আপনার দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য আপনার নামে ইস্যুকৃত অফিস সরঞ্জামাদি ও উদ্ধৃত ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

বেহাত হওয়া কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৭টি ডেস্কটপ কম্পিউটার,৭টি ল্যাপটপ, ইউপিএস, প্রিন্টার, মডেম, স্পিকার ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে ফাইল কেবিনেট, চেয়ার, টেলিফোন সেট, দেয়ালঘড়ি।

প্রকল্পের এমন শম্বুকগতিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যার প্রতিফলন ঘটেছে প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তম সভার কার্যবিবরণীতে। স্টিয়ারিং কমিটির সভায় সাবেক শিক্ষাসচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি কাঙ্ক্ষিত নয়। প্রকল্পের অবশিষ্ট কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে প্রকল্পের মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করাসহ সংশ্লিষ্ট সবার আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন।

প্রকল্পের বেহাল অবস্থার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এ প্রকল্পের অগ্রগতি খুবই সামান্য। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। কেন এমনটি হলো, তা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদও প্রকল্পের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি, খুব শিগগির প্রকল্পের দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।’আজকের পত্রিকা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions