চট্টগ্রাম:- স্বল্পখরচে দেশে উন্নত ও বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার দাবি করেছে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশ কেন?’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ দাবি করা হয়।
এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, যাত্রা শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রাম এভারকেয়ার উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানে কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো অ্যাওয়েক ক্র্যানিওটোমি সার্জারি, বোন ম্যারো ট্র্যান্সপ্ল্যান্টেশন, বাইল্যাটেরাল নী রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি, বোটক্স ব্যবহার করে সার্ভিক্যাল ডিসটোনিয়া, স্ট্রোক থ্রোম্বলোসিস প্রসিডিওর, ব্রেইন টিউমার রিমুভ্যাল সার্জারি, থোরাসিক এন্ডোভাসক্যুলার অ্যারোটিক রিপেয়ার (টিইভিএআর) প্রসিডিওর, ভার্টিব্রা জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে এম আই এস (মিনিম্যালি ইনভ্যাসিভ সার্জারি) এবং পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি প্রসিডিওরসহ বেশকিছু জটিল চিকিৎসা সফলভাবে শেষ করেছে।
যা হাসপাতালটিকে অন্যান্য হাসপাতালের সেবা থেকে বেশ আলাদা করেছে।
গোলটেবিল বৈঠকে এভারকেয়ার হাসপাতাল চট্টগ্রামের চিফ অপারেটিং অফিসার সামির সিং বলেন, যারা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান তাদের ভাষাসংক্রান্ত জটিলতা, অপরিচিত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ব্যবস্থা, দীর্ঘ অপেক্ষা এবং মাত্রাতিরিক্ত খরচসহ নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া, নিজের বাড়ি ও প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে এতো দূরে অবস্থান করার কারণে অতিরিক্ত চাপ তৈরির ফলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেন অনেকেই। আর চিকিৎসার ফলো-আপের জন্য বারবার আসা-যাওয়ার ঝামেলা, আর্থিক চাপ ও নিত্য জীবনযাপনে ব্যাঘাত তো আছেই। সেইসঙ্গে আছে মেডিক্যাল ভিসা পাওয়ার অনিশ্চয়তা, ভিসার জন্য দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা এবং রোগীর সঙ্গে যিনি থাকবেন তার কাজ থেকে ছুটি নেওয়াসহ নানান ঝামেলা।
হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্ভিস বিভাগের পরিচালক ডা. দীপক সিং বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে অত্যাধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা এবং দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের আজকের এই আলোচনার উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রামে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি মানুষকে জানানো এবং দেশে চিকিৎসা নেওয়া সুফলসমূহ তুলে ধরা।
আলোচনায় চিকিৎসাসেবায় সর্বশেষ অগ্রগতি, বিদেশের তুলনায় এভারকেয়ার হসপাতালে কম চিকিৎসা ব্যয় এবং বিদেশে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে গিয়ে রোগীদের নানান ভোগান্তিসহ বেশকিছু বিষয় উঠে আসে। এছাড়া ফলো আপের জন্য বারবার বিদেশ আসা-যাওয়ার ঝামেলা, রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যদের উপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা এবং ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।