শিরোনাম
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে,পাল্টাপাল্টি দোষারোপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ কোটা সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০৬,ছুটির দিনেও রাজধানী ফাঁকা এএসআই মোক্তাদিরের ওপর নৃশংসতায় স্তব্ধ পরিবার সারা দেশে অভিযান,এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ ‘গুলি আর কারা করবে, আমরা নিরস্ত্র ছিলাম’-মিফতাহ সিদ্দিকী ‘এত মৃত্যু দেখে কেউ চুপ থাকতে পারে না’ কোটা বিক্ষোভ দমনের পর প্রান্তসীমায় বাংলাদেশ,ক্রাইসিস গ্রুপের রিপোর্ট নতুন নির্বাচন দাবি ড. ইউনূসের গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ ফেসবুক খুলবে কবে? এই মাধ্যম এখন আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার

বাংলাদেশের দর্শকেরা অবিশ্বাস্য, জীবনে এমন দেখিনি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৯৯ দেখা হয়েছে

-ক্রিকেটকে ধ্যানজ্ঞান মানলেও খেলাটা খুব বেশি খেলা হয়নি তাঁর। অভিজ্ঞতা বলতে পাঁচটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। তবে কখনো ধারাভাষ্যকার কখনোবা উপস্থাপক হিসেবে অনেক দিন ধরেই ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছেন ম্যাট কবির। এবার প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছেন ধারাভাষ্য দিতে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাট কবির বললেন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ নিয়ে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বোরহান জাবেদ

প্রশ্ন: প্রথমবার বাংলাদেশে এসে কেমন উপভোগ করছেন?
ম্যাট কবির: দারুণ লাগছে এখানে। যদিও খুব বেশি ঘুরে দেখার সুযোগ হয়নি। বাঙালি সংস্কৃতি ও খাবার আমি ভালোবাসি। আমার বাবা ইংলিশ, মা ভারতীয়। ভারত-বাংলাদেশের খাবারের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। বাংলাদেশের সংস্কৃতির আলাদা একটা ঢং আছে। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের বেশ পার্থক্য। ঢাকা ইজ আ ক্রেজি সিটি। চট্টগ্রাম একটু শান্ত।

প্রশ্ন: ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে বলে আশা করেছিলেন?
ম্যাট: সত্যি বলতে, না। ওয়ানডেতে ভারত অনেক শক্তিশালী দল। তবে অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ এই সংস্করণে ভালো করছে। আমার ভুল না হলে ২০১৫ সাল থেকে তারা ঘরের মাঠে মাত্র একটা সিরিজ হেরেছে। আমি তাই ভেবেছিলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও ২-১ ব্যবধানে বাংলাদেশ সিরিজ হারবে। কিন্তু মাঠের খেলার প্রেডিকশন করা যে কঠিন, এই সিরিজ সেটাই শিক্ষা দিল। প্রথম দুই ওয়ানডে বাংলাদেশ যেভাবে জিতে নিয়েছে, এটাই প্রমাণ করে তারা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি চাপ সামলাতে সক্ষম হয়েছে। তিনটার মধ্যে প্রথম ওয়ানডে সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য লেগেছে। লো-স্কোরিং ম্যাচ আমার দারুণ লাগে। একই সঙ্গে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারির আবহ ছিল অবিশ্বাস্য। আমি এত দর্শক আগে দেখিনি। ফিজের সাধারণ ডিফেন্সেও তারা কী দারুণভাবেই না স্টেডিয়াম মাতিয়ে রাখছিল। এবং তারপর জয়ের মুহূর্ত। বাংলাদেশের দর্শকেরা স্রেফ অবিশ্বাস্য, জীবনে এমন আবহ দেখিনি।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

প্রশ্ন: এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটারকে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর লেগেছে?
ম্যাট: অবশ্যই মেহেদি হাসান মিরাজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওর আবির্ভাব হয়েছিল একজন বোলার হিসেবে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মনে আছে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিল। তখন স্কাই স্পোর্টসের হয়ে কাজ করি। ওকে দেখে ভাবছিলাম, ওয়াও, এই ১৮ বছরের ছেলেটা তো দারুণ। অ্যালিস্টার কুকও দারুণ সব কথা বলেছিল ওকে নিয়ে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ওর পথচলা দেখা বেশ উপভোগ্য। ওর ব্যাটিংয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা শুধু ভালোর দিকেই গেছে। শুধু স্কিল নয়, মানসিকভাবেও সে অনেক উন্নতি করেছে। দুই ওয়ানডেতেই অনেক চাপের ভেতর ব্যাটিং করেছে। সাকিব আল হাসান তো অবশ্যই আধুনিক গ্রেটদের একজন। কিন্তু ওর বয়স এখন ৩৫। যখন সাকিব থাকবে না, তখন কারও ওর জায়গাটা পূরণ করতে হবে। মেহেদির ব্যাটিং অবশ্যই সাকিবের মতো ভালো হবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত ওর গড় আরও বাড়বে। একসময় সে সাকিবের অভাব পূরণ করবে। হয়তো ছয়ে ব্যাটিং করবে, তার লক্ষ্য তাই হওয়া উচিত। বোলিং তো এমনিই ভালো। সে যদি ছয় অথবা সাতে ব্যাটিং করতে পারে, সেটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ হবে।

আরেকজন ইবাদত, সেও আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। মিরপুরের উইকেটে তেমন কিছু ছিল না, একটু ভ্যারিয়েবল বাউন্স ছিল। তবু সে ভারত টপ অর্ডারের সবাইকে ভুগিয়েছে। আর ওর গল্পটাও সুন্দর। ও পেস বোলিং প্রতিযোগিতা থেকে উঠে এসেছে, বিমানবাহিনীতে ছিল, ভলিবল খেলত। বিরাট কোহলিকে আউট করার পর স্যালুট দিয়ে যেভাবে উদ্যাপন করেছিল, বেশ ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগ কেমন দেখেছেন?
ম্যাট: আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা পেস বোলিং ইউনিট। ইবাদত, খালেদ, শরীফুল, তাসকিন, হাসান মাহমুদ—এক্সসাইটিং একটা গ্রুপ। ফ্ল্যাট উইকেটেও বাড়তি গতি দিয়ে ইবাদত, তাসকিন, খালেদ পার্থক্য তৈরি করার ক্ষমতা রাখে। এটা দারুণ। নিউজিল্যান্ডে টেস্ট জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে দারুণ এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। এরপর টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারা হতাশার। অবশ্য তারা ভালো দল। রাসেল ডমিঙ্গো ও অ্যালান ডোনাল্ড কৃতিত্ব পাবে। ডমিঙ্গোর এই কথা তো শুনেছেন, তিনি শুধুমাত্র স্পিনারদের ওপর নির্ভর করতে চান না। ফাস্ট বোলারদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। দল হিসেবে স্পিনাররা যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ম্যাচ জেতাতে পারবে না, সেটাও ডমিঙ্গো উপলব্ধি করেছেন। এটা বাস্তবায়নের জন্য ডোনাল্ডের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। এখন বাংলাদেশকে দেখতে যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে হওয়ার একটাই কারণ, তাদের দারুণ সব ফাস্ট বোলার আছে।

প্রশ্ন: বড় দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির কোন পার্থক্য চোখে পড়ে?
ম্যাট: ক্রিকেটের প্রতি এখানকার মানুষের প্যাশন আমাকে দারুণ ছুঁয়ে গেছে। প্যাশন এবং দর্শক সমর্থক বাংলাদেশ-ভারত সমান্তরালে থাকবে। যে ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে, এখানে দলের কাছে অনেক অনেক বেশি প্রত্যাশা। এটাতে অবশ্য কোনো সমস্যা দেখি না।আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions