শিরোনাম
গুম-খুন-কারা নির্যাতিত বিএনপিস্বজনদের আহাজারি,বাঁচার অধিকার না থাকলে সবাইকে একসাথে মেরে ফেলুন তপশিল বাতিল চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের ৩ প্রস্তাব মানবাধিকার নিয়ে হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দেওয়া যাবে না স্বতন্ত্র আতঙ্কে নৌকা রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা ফিরে আসবে এমন নির্বাচন দরকার চরম সংকটে পরিবার চাকরি, ব্যবসা লাটে বাদ পড়লেন শ্বশুর-জামাতা বোর্ড পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাসের হার হ্রাস পাওয়ায় পিসিপির উদ্বেগ প্রকাশ অবিলম্বে শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা ও শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি ভারতে মেরুকরণের অস্ত্র হতে পারে সিএএ এবার রাজপথে নামবে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাদের পরিবারের সদস্যরা

এক দশকে আবাদি জমি কমেছে ৬০ শতাংশ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৩৩ দেখা হয়েছে

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি):- খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ২০১১ সালে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৪ হেক্টরে। অর্থাৎ গত এক দশকে জমি কমেছে ৭ হাজার ২৭৬ হেক্টর বা ৬০ শতাংশের বেশি।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব কৃষিজমি ভরাট করে পাকা, আধা পাকা ভবনসহ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। আবাদি জমি কমে যাওয়ায় দেখা দিতে পারে খাদ্য ঘাটতি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের আদমশুমারির সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আবাদি জমির পরিমাণ নেমে এসেছে ৪ হাজার ২২৪ হেক্টরে। গত এক দশকে ৭ হাজার ২৭৬ হেক্টর আবাদি জমি কমেছে। এতে গড়ে উঠেছে আবাসিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থাপনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জনপদে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।

সম্প্রতি উপজেলার মুসলিমপাড়া, মাস্টারপাড়া, মহামুনি তালতলা, লেমুয়া, তিনটহরী ঘুরে দেখা গেছে, এক দশক আগের কৃষিজমি, পুকুর ভরাট করে আধা পাকা ও পাকা দালানকোঠা নির্মাণ করে থাকছে অনেক পরিবার। কৃষিজমি ভরাট করে মাদ্রাসা গড়ে তোলা হয়েছে। অনেকে স্থানে পুকুর ভরাট করে স্থাপনা করতে দেখা গেছে। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে জমি ভরাটের ফলে কৃষি উৎপাদন কমছে উদ্বেগজনক হারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। কিন্তু জমি বাড়ছে না। এই অবস্থায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রয়োজনে কম জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে বাসস্থান নিশ্চিতের পাশাপাশি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে তৃণমূলে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা বেশি। এক দশকে সাত হাজারের অধিক আবাদি জমি কমে যাওয়া জনপদের জন্য অশনিসংকেত।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুম্পা ঘোষ বলেন, ‘আবাদি জমির পরিকল্পিত ব্যবহারে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে জনসচেতনতা প্রয়োজন। বিনা অনুমতিতে কৃষিজমি, পুকুর বা জলাশয় ভরাট করা আইনত অপরাধ। কৃষিজমি রক্ষায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। অভিযোগ পেলে প্রশাসন বেআইনি কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions