শীতের মৌসুম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এখন ঠান্ডা। তবে গত কয়েকদিন ধরে এর তীব্রতা বেশ বেশি। এ জন্য শরীর গরম রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের মোটা কাপড় পরা হচ্ছে। কেউ কেউ কিছুক্ষণ পরপর গরম পানি পান করছেন। আবার কেউ বাসা বা রুমে হিটার চালু রাখছেন উষ্ণতার জন্য। কিন্তু বাসার বাইরে বের হলে বাতাসের কারণে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা থাকে।
এ ক্ষেত্রে শীত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য শরীর গরম রাখার বিকল্প নেই। তাই খাদ্যতালিকায় নজর দেয়া জরুরি। খাদ্যাভ্যাসে অবশ্য কিছু পরিবর্তন আনলেই বাইরের ঠান্ডার সঙ্গে লড়াইয়ের শক্তি পায় শরীর। এ জন্য বাড়তি কোনো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধেরও প্রয়োজন নেই। বাসা-বাড়িতে থাকা কয়েকটি উপাদানই যথেষ্ট। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম শীতে শরীর গরম রাখার ব্যাপারে তুলে ধরেছে। তাহলে এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-
গুড়:
গুড়কে বলা হয় চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প উপাদান। গুড়ে আয়রন ও ক্যালোরি থাকে প্রচুর। যা খাওয়া হলে শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। রক্তনালীকে প্রসারিত করে এবং তাপমাত্রা বজায় রাখতেও সহায়তা করে গুড়।
খাওয়ার উপায়:
প্রতিদিন দুপুরে বা রাতে খাবার খাওয়ার পর ছোট এক টুকরো গুড় খাওয়া হলে তা শরীর গরম রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ফুসফুসকে দূষণমুক্ত রাখতে কার্যকরী এটি।
আদা:
এটিকে বলা হয় প্রাকৃতিক থার্মোজেনিক খাবার। এতে থাকা জিনজারোল নামক উপাদান শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। এ কারণে আদা খাওয়া হলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পায়।
খাওয়ার উপায়:
শীতের সকালে আদা চা বা গরম পানিতে আদা ফুটিয়ে তা পান করতে পারেন। এতে শরীর যেমন গরম থাকবে, একইভাবে সর্দি-কাশি ও গলা ব্যথার ঝুঁকিও কমবে। আবার হজম ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে আদা।
তিল:
শীতে খাদ্যতালিকায় তিল রাখা খুবই প্রয়োজন। এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। যা নিয়মিত খাওয়া হলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয় এবং হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহযোগিতা করে।
খাওয়ার উপায়:
তিল নানাভাবে খাওয়া যায়। তিলের নাড়ু তৈরি করে খেতে পারেন। আবার চাইলে মিষ্টিজাতীয় কোনো খাবার বা সালাদের ওপর ছিটিয়ে দিয়েও খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অল্প তিল চিবিয়ে খাওয়া হলে দিনভর শরীর উষ্ণ থাকে।
কেন গুড়-আদা-তিল খাবেন:
এই খাবারগুলো একদম নিরাপদ। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এসব উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যা খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এবং সাশ্রয়ী। তিন খাবারেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শীতকালীন রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। তবে যেটিই খাওয়া হোক না কেন, তা পরিমিত পরিমাণ খেতে হবে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আর রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে গুড় খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com