ডেস্ক রির্পোট:- মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বিকেলের ভারী বর্ষণের পর শহরের নানা অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। সরেজমিন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং ছবিতে দেখা গেছে, বুলাতান পাহাং, জালান তুন রাজাক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কুয়ালালামপুর এলাকার সড়কগুলো হাঁটু থেকে কোমর–সমান পানিতে ডুবে গেছে। তীব্র স্রোত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর দিয়ে পানি উপচে পড়ায় যানজট সৃষ্টি হয় এবং বহু যানবাহন রাস্তায় আটকে পড়ে। তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এ খবর লেখা পর্যন্ত দ্রুত পানি নিচে নেমে গেছে।
দেশটির ফ্রি মালয়েশিয়া জানিয়েছে, পেটালিং জয়া, বান্দার, গোমবাক, বাতু কেভস ও কাজাং এলাকাতেও ফ্ল্যাশ ফ্লাডের খবর পাওয়া গেছে। কুয়ালালামপুর সিটি হল (ডিবিকেএল) জানিয়েছে, আবহাওয়া সতর্কতার পর শহরের ১৫টি বন্যাপ্রবণ স্থানে ৩৭০ জন কর্মী নজরদারিতে রয়েছে।
এদিকে দুযোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার কারণ হিসেবে জানাগেছে, মালয়েশিয়া–ইন্দোনেশিয়া–থাল্যান্ডজুড়ে বিরল একটি ট্রপিক্যাল ঘূর্ণিঝড় মালাক্কা প্রণালীতে তৈরি হয়ে টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় তিন দেশে ব্যাপক দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে। ভারি বৃষ্টিজনিত বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় ৩৩৬ জন, থাইল্যান্ডে ১৭০ জন এবং মালয়েশিয়ায় ২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে মালয়েশিয়া টুডে।
ইন্দোনেশিয়া সংবাদ মাধ্যমের বরাতে মালয়েশিয়া টুডে আরও জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো উদ্ধারকারী দল কাজ করছে এবং পানিবন্দী বহু স্থানে প্রবেশ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিন দেশে চলমান দুর্যোগে মোট ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—এর মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ দক্ষিণ থাইল্যান্ডে এবং ১১ লাখ পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায়।
অন্যদিকে, বঙ্গোপসাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাতে শ্রীলঙ্কায় ১৫৩ জন নিহত, ১৯১ জন নিখোঁজ এবং দেশজুড়ে অর্ধ-মিলিয়নের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বরাতে জানিয়েছে মালয়েশিয়া টুডে।
এদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৈরি আবহাওয়া পরিস্থিতি অব্যাহত থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com