ডেস্ক রির্পোট:- চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় যুবদল কর্মী মো. আলমগীর ওরফে আলম (৫৫) হত্যায়ও উঠে এসেছে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. রায়হানের নাম। পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের ভাষ্য, রায়হানের নেতৃত্বেই আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় অংশ নেয় আট থেকে ১০ জন। সময় নিয়েছিল দুই মিনিট।
পুলিশ বলছে, কথায় কথায় গুলি ছোড়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসী রায়হান। তাকে ধরতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। রাউজান ও ফটিকছড়ির পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা তার। সেখান থেকে এসে অপরাধ করে, বিশেষ করে গুলি করে হত্যার পর দ্রুত পাহাড়ের নিরাপদ স্থানে চলে যায়। মূলত চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেছে রায়হান।
পুলিশের ভাষ্য, এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে আলম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত আলম একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত জানে আলম বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। এ ছাড়া আলম ওই এলাকায় ডাকাত আলম হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
আলম হত্যা
গত শনিবার বিকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তারা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কায়কোবাদ মসজিদের পাশের কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা ৮-১০ জন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা হত্যার পর দুই মিনিটের মধ্যে রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার আলমগীর ওরফে আলম
আলমের মোবাইলে কথোপকথনে রায়হান আতঙ্ক
এরই মধ্যে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে আলমের কথোপকথনের একটি ভিডিও শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সন্ত্রাসী রায়হানকে নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন আলম। তারই সূত্র ধরে হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসী রায়হানের সংশ্লিষ্টতা আছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছেন আলম। সন্ত্রাসী রায়হানের নাম উল্লেখ করে অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে উদ্দেশ করে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি যে শোডাউন করিয়েছ আতঙ্ক সৃষ্টি করে, আমাকে তো মেরেও ফেলতে পারতো, তুমি তো ও রকম মানুষ নিয়ে এসে আমাকে মেরে ফেলতে পারো। আমাকে তাড়ানোর জন্য তুমি এসব করছ।...ওরা আমাকে থ্রেট দিতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছে।’
হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় কারাগারে গিয়ে চট্টগ্রামের আলোচিত সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে পরিচয় হয় রায়হানের। গত বছরের ৫ আগস্টের পর দুজন কারাগার থেকে জামিনে বের হন। এরপর ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠে রায়হান। সাজ্জাদ সম্প্রতি আবারও কারাগারে গেলে তার অস্ত্রভান্ডারের দেখভাল করছে এই রায়হান।
কারাগারে থাকার প্রসঙ্গ টেনে আলমকে মোবাইলে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাঁচতে চাই। ১৭ বছর আমি স্ত্রী-সন্তানকে ছেড়ে কারাগারে ছিলাম। এখনও যদি তোমাদের কারণে কষ্টে থাকি, আমি কার কাছে যাবো। আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। তাদের অস্ত্রসহ কেন আনলে। তিনটি মোটরসাইকেলে অস্ত্র ছিল। আমি তো একলা ছিলাম। জনগণ পাশে আসায় ওরা চলে গেছে। নইলে তো আমার মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল।’ তবে আলমের সঙ্গে কথোপকথনের সময় মোবাইলের অপর প্রান্তে কে ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
‘রায়হান সরাসরি আমার বাবাকে গুলি করে’
আলমের ছেলে মো. আশফায়েত হাসেন বলেন, ‘শনিবার পৌরসভার রশিদাপাড়া এলাকায় ফুফুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম আমরা পুরো পরিবার। দাওয়াত খেয়ে বাসায় ফিরছিলাম। বাবাসহ আরও দুজন মোটরসাইকেলে ছিলেন। আমি এবং মাসহ পরিবারের অন্যরা সিএনজি অটোরিকশায় ছিলাম। আমার বাবার মোটরসাইকেল সামনে ছিল। আমাদের অটোরিকশা পেছনে ছিল। কায়কোবাদ মসজিদের কাছে পৌঁছালে সেখানে পাশের কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা ৮-১০ জন অস্ত্রধারী বের হয়ে বাবার মোটরসাইকেলের সামনে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক গুলি করতে থাকে। হত্যাকারীরা ৮ থেকে ১০ জন ছিল। দুই মিনিটের মধ্যে গুলি করে পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে রায়হান সরাসরি আমার বাবাকে গুলি করেছে।’
আশফায়েত হাসেন বলেন, ‘বাবার সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা আমার আত্মীয় মুহাম্মদ রিয়াদ (২৫) ও মো. আকিব (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমার ধারণা, কেউ আগে থেকে পরিকল্পনা করে ভাড়াটে সন্ত্রাসী রায়হানকে দিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করিয়েছেন। রায়হানকে গ্রেফতার করলে সব বের হবে। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’
আলমের স্ত্রী লাভলী আকতার বলেন, ‘আমার চোখের সামনে স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী রায়হান ও তার সহযোগীরা। তাকে দিয়ে কেউ হত্যা করিয়েছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’
পুলিশ বলছে রায়হানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে
চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আলম হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসী রায়হানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আলম হত্যায় কে বা কারা জড়িত, তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত আলম যাদের আগ থেকে সন্দেহ করতেন, তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে সন্ত্রাসী রায়হানকেও খুঁজছে পুলিশ।’
আলম হত্যার মধ্য দিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছে রায়হানের নাম। এর আগে গত রাউজানে যুবদল নেতা মো. সেলিম ও দলীয় কর্মী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রায়হানের নাম উঠে এসেছিল। দুই মামলায় রায়হানকে আসামিও করা হয়। তবু তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ।
কে এই রায়হান
রাউজানের ৭ নম্বর রাউজান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জুরুরকুল খলিফা বাড়ির মৃত বদিউল আলমের ছেলে মো. রায়হান। চট্টগ্রাম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে খুন, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ জানায়, রায়হানের বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় জোড়া খুনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি হত্যা মামলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছোট সাজ্জাদের বাহিনীতে রয়েছে ২৫ জন সক্রিয় সদস্য। গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিংমল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বাহিনীর হাল ধরে পাঁচ সহযোগী। তাদের অন্যতম সাজ্জাদের ডানহাত হিসেবে পরিচিত রায়হান। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে রায়হান দ্বিতীয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলটির বিভিন্ন মিছিল ও সমাবেশে যোগ দিতো রায়হান। স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের সঙ্গে তার সখ্য ছিল। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বিএনপির সভা-সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করে।
রাউজানে তিন হত্যার নেপথ্যে রায়হান
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাউজানের কদলপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মো. সেলিম, রাউজান ইউনিয়নের যুবদল কর্মী মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সর্বশেষ আলম হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় রায়হান। এ ছাড়া ছাত্রদল নেতা পিয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী বাবুকে গুলি করেছিল রায়হান। একাধিক গুলি করার পর মারা গেছে মনে করে চলে যায়। তবে পিয়ার মোহাম্মদ বেঁচে গেলেও তার পা কেটে ফেলতে হয়।
সেলিমের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘৬ জুলাই আমি ও আমার মেয়ের সামনে সেলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কদলপুর ইউনিয়নে ঈশানভট্টের হাটে মোটরসাইকেলে থাকা সেলিমকে গুলি করে বোরকা পরে আসা রায়হানসহ কয়েকজন। পরে অটোরিকশায় করে কদলপুর পাহাড়ি এলাকার দিকে চলে যায় তারা।’
ইব্রাহিমের চাচা আবদুল হালিম বলেন, ‘গত ২২ এপ্রিল দিনদুপুরে উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের বাজারের একটি দোকানের সামনে বসা অবস্থায় যুবদল কর্মী ইব্রাহিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাড়ির দেড় কিলোমিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে। সেদিন হঠাৎ তিনটি অটোরিকশায় করে সন্ত্রাসী রায়হানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে ইব্রাহিমের মাথায় ও বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসী রায়হান ভাতিজাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করলেও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।’
সর্বশেষ ২৫ অক্টোবর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার ছেলে আশফায়েত হাসেন বলেছেন, ‘আমার বাবাকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় রায়হান।’
নগরের জোড়া খুনেও রায়হান
গত ৩০ মার্চ রাতে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে প্রাইভেটকারে থাকা মো. বখতিয়ার হোসেন ওরফে মানিক (২৮) ও আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২) নামে দুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বখতিয়ার হোসেন ওরফে মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাকে হুকুমের আসামি করা হয়। রায়হানকেও এই মামলার আসামি করা হয়। এই মামলায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে রায়হান।
গুলিতে আহত উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ঠিকাদার পিয়ার মোহাম্মদ বাবু
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জোড়া খুনের ঘটনায় অংশ নেওয়া কয়েকজনের মধ্যে একজন রায়হান। সম্প্রতি তাকে গ্রেফতারে গ্রামের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। কিন্তু খোঁজ মিলছে না। তাকে খুঁজছে পুলিশ।
কথায় কথায় গুলি ছোড়ে
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কথায় কথায় গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসী রায়হান। ঠিক তার গুরু সন্ত্রাসী সাজ্জাদের মতো। তাকে ধরতে একাধিকবার অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। রাউজান ও ফটিকছড়ির পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা তার। সেখান থেকে এসে অপরাধ করে, বিশেষ করে গুলির পর দ্রুত পাহাড়ের নিরাপদ স্থানে চলে যায়। মূলত সন্ত্রাসী সাজ্জাদের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে রায়হান দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠে।’
ছাত্রদল নেতাকে গুলি
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব গুজরা ইউনিয়নে গুলিতে গুরুতর আহত হন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ঠিকাদার পিয়ার মোহাম্মদ বাবু। এ ঘটনায় ১৮ মার্চ তিনি রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলায় রায়হানকে প্রধান করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে রায়হান।
পিয়ার মোহাম্মদ বাবু বলেন, ‘রায়হানের নেতৃত্বেই আমাকে গুলি করা হয়। আমি মারা গেছি ভেবে পুকুর পাড়ে ফেলে চলে যায় তারা। পুলিশ মাত্র তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের বেশিরভাগ প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী রায়হানকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।’
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘আলম হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তদন্তের পর মামলা হবে। ট্রিবিউন
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com