ডেস্ক রির্পোট:- অগাস্টিনা চাকমা, পেশায় মডেল। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। বসবাসও সেখানেই। এ দেশের নাগরিকও নন তিনি। চাঁদাবাজির টাকায় বিদেশে বেড়ে ওঠা তার। নিজেকে মডেল দাবি করলেও মডেলিংয়ের আড়ালে কর্পোরেট অঙ্গনে বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছেন তিনি।
স্যোশাল মিডিয়ায় উগ্র পোশাকে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থানের ছবি দিয়ে উষ্ণতা ছড়াতে ভালবাসেন পিসিজেএসএস-এর নেতা সন্তু লারমার নাতনি এই অগাস্টিনা চাকমা। তার নানা দীর্ঘ ২৭ বছর বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। অথচ তারই পৃষ্ঠপোষকতায় বারবার আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশে ফ্যাশন
অগাস্টিনা চাকমা ১৫ জুলাই জাতিসংঘের এক্সপার্ট ম্যাকানিজম অন দ্য রাইটস অব ইনডিজেনাস পিপলস এর ১৮তম অধিবেশনে পিসিজেএসএস-এর প্রতিনিধি হয়ে বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি আপত্তিকরভাবে দেশের ও দেশের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেছেন।
অতিব সত্য যে, যখন সেনাবাহিনীকে ভয়ংকর পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে, দেশরক্ষায় ওই সব সশস্ত্র সন্ত্রাসীর হাতে জীবনও দিতে হচ্ছে এবং সেই সেনাবাহিনীর একটি অংশ যখন বহুজাতিক বাহিনীর গর্বিত অংশ হয়ে জাতিসংঘে নিয়োজিত আছে, ঠিক তখনই পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অপকর্ম তুলে না ধরে তাদেরই প্রতিনিধি হয়ে জাতিসংঘে বক্তব্য দিচ্ছেন অগাস্টিনা চাকমা।
কাদের ইশারায় বারবার তিনি এমন বক্তব্য রাখেন? এসব বক্তব্য কি দেশদ্রোহী অপরাধ নয়? কাল বিলম্ব না করে, এই ভয়ংকর চক্রের তৎপরতা রুখতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার। অচিরেই সন্তু লারমাকে তার নাতনির কর্মকান্ডার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, কেন তার নাতনি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী বক্তব্য দিয়েছেন।
সরকারী বা জেএসএসের চাঁদাবাজীর টাকায় এই বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার করার ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। এই প্রসঙ্গে মূলকথা তার মুখেই জাতি শুনতে চাই।
অগাস্টিনার আপডেট বক্তব্য
তার এ বক্তব্য শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, একজন বিদেশী নাগরিক হয়ে তিনি কী করে বাংলাদেশের একটি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন? বাংলাদেশ সরকারের উচিত এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সাথে কথা বলা যেন তাকে বাংলাদেশের কোনো সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচনা না করা হয়।
প্রশ্ন ওঠে, শান্ত পাহাড়কে অশান্ত করেছে কে? বছরের পর বছর পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়তা কেন? একটা দেশের সেনাবাহিনীকে কতটা প্রয়োজন হলে ওই দেশেরই একটি অংশ পাহারায় নিযুক্ত করতে হয়? একটি দেশের মধ্যে জাতিগত ভেদাভেদ তুলে নিজেরা গ্রুপে গ্রপে ভাগাভাগি হয়ে নিজেরাই হানাহানি গোলাগুলি করে মারা যায় কেন?
এসব প্রশ্নের একটি সহজ উত্তর- পাহাড়ি সন্ত্রাস, অস্ত্রবাজি, কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি, অপহরণ করে চাঁদা দাবি, চাঁদা না পেলে হত্যা। এই সমীকরণের উত্তর একটাই। চাঁদাবাজির আড়ালে যাবতীয় অপরাধ। এই চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জিঘাংসায় পার্বত্য অঞ্চলে একটি দল জেএসএস থেকে ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক, ইউপিডিএফ-সংস্কার, কেএনএফ- এইভাবে একের পর এক অস্ত্রধারী আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গ্রুপ সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশে ফ্যাশন
সবারই লক্ষ্য অভিন্ন। পাহাড়ি অঞ্চলকে অশান্ত করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা। অশান্ত পাহাড়কে আজ বিভীষিকাময় মৃত্যুপুরী বানিয়ে তারা দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে কলুষিত করছে। বারবার দেশের ও দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বহির্বিশ্বে গড়ে ওঠা ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করছে। প্রকৃত সত্যকে আড়ালে রাখতে নির্লজ্জ ব্যর্থ চেষ্টা অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছে।
আগের বক্তব্যের ফুটেজ যাবে এই ভয়েসের সাথে। ইতোপূর্বেও অগাস্টিনা জাতিসংঘে বারবার নৃ-গোষ্ঠীকে একটি বিতর্কিত আইডেন্টিফিকেশন দাবি করে, পাহাড়ের প্রকৃত চিত্র আড়াল করে মিথ্যাচার করে চলেছেন। নিস্তব্ধ পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি, লাশের স্তূপ, অত্যাচরিত মানুষের গগনবিদারী চিৎকার- এসব তিনি তো একবারও উচ্চারণ করেননি।
বিশ্বের একটি অতি উৎসাহী মহল ও তাদের পোষ্য কিছু স্বার্থান্বেষী এনজিওর গোপন তৎপরতায় তারা এসব বৈশ্বিক ফোরামে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দেশ-বিদেশে চালানো হচ্ছে আপত্তিকর প্রচারণা। যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এই কদিন আগে এমনই মিথ্যাচারের জন্য ওই অগাস্টিনা চাকমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলসহ সারা দেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com