বান্দরবান:- বান্দরবানে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঘটনায় রুমা উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের একটি অংশে পাহাড় ধসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কায় জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসিফ রায়হান জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আসেননি। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
বান্দরবান-রুমা সড়কের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়াইজংশন থেকে দুই কিলোমিটার পর সড়কের ওপর বড় ধরনের পাহাড়ধস হয়েছে। সকালে কিছু যান চললেও দুপুরের পর থেকে সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ধসের জায়গায় যাত্রী নামিয়ে দুই পাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁরা জানান, ২০১৭ সালে একইভাবে যাত্রী নামিয়ে গাড়ি চালানোর সময় পাহাড় ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, ওয়াইজংশন থেকে বেতছড়া পর্যন্ত অংশটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে ভারী বৃষ্টির সময় পাহাড় ধস না হলেও সতর্কতা হিসেবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ২৬ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের (২৬ ইসিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ চলছে। দ্রুত সড়ক চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com