ডেস্ক রির্পোট:- রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আসে মাহে রমজান। এখন আমরা রোজার দ্বিতীয় পর্ব মাগফিরাত বা আল্লাহর ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের দিনগুলো পার করছি। দেখতে দেখতে ১৬টি রোজা চলে যাচ্ছে। মাহে রমজান আমাদের মাঝে শান্তি ও কল্যাণের পরশ বুলিয়ে দেয়। অবিরত শান্তি, কল্যাণ ও পুণ্যের হাতছানি দিয়ে থাকে রোজার প্রতিটি মুহূর্ত। একাগ্র চিত্তে সিয়াম সাধনা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, তারাবির নামাজ, তাহাজ্জুদের নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, শবে কদর তালাশ, নানা ফজিলতপূর্ণ সূরা, দু’আ ও দরুদ শরিফ পাঠ, মসজিদে মসজিদে ইতেকাফ পালন, গরিবদের মাঝে দান–সদকাহ, জাকাত, ফিতরা বিতরণের মধ্য দিয়ে মুমিন মুসলিমরা রোজার মাসটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পার করে দেন।
মহান রব আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জনের বড় উপলক্ষ হলো রোজার মাস। তাই বরকতপূর্ণ এবং বিশেষ মাহাত্ম্যপূর্ণ রোজার মাসটির প্রতিটি মুহূর্ত ইবাদত বন্দেগিতে অতিবাহিত করতে সচেষ্ট থাকেন মুমিন মুসলমানরা। শারহুস সুন্নাহ গ্রন্থে বর্ণিত একটি হাদিস এখানে উল্লেখ করা যায়। ‘কানান্নাবিউ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা ইয়াদ্দাখিরু শাইয়ান লিগাদ’। অর্থাৎ প্রিয় রাসুল (দ.) এর অভ্যাস ছিল, তিনি আগামীকালের জন্য কিছু জমা রাখতেন না। অথচ আমরা জীবনের মূল্যবান সময়টুকু হেলায় নষ্ট করি। নবী, রাসুল, সাহাবা, ওলি বুজর্গরা সময়কে গুরুত্ব দিতেন। আগামীকালের জন্য কোনো কাজ রেখে দিতেন না। আমরাও ইবাদত বন্দেগিতে সময়কে কাজে লাগিয়ে মহান আল্লাহ পাকের অনুগ্রহভাজন হতে পারি। মনে করতে হবে, এবারের রোজাই শেষ রোজা। আজকের রোজার দিনই অনেকের জীবনে শেষ রোজা হতে পারে। আগামীকাল পর্যন্ত বাঁচবেন কিংবা আরেকটি রোজার মাস পাবেন এই নিশ্চয়তা কোথায়?
হায়াত মউত রিজিক সবই আল্লাহ পাকের হুকুম ও মেহেরবানি। সুস্থ–সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, কল্যাণমুখী জীবনের জন্য আল্লাহ পাকের কাছে আমাদেরকে ফরিয়াদ ও প্রার্থনা করে যেতে হবে। প্রিয় নবী (দ.)আমাদেরকে একটি দু’আ শিখিয়ে দিয়েছেন : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান ওয়া রিজকান তাইবিয়ান ওয়াআমালান মুতাকাব্বিলান’। অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি উপকারী জ্ঞান, হালাল রিজিক ও এমন আমল যা কবুল হওয়ার যোগ্যতা রাখে।আজাদী
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com