ডেস্ক রির্পোট:- মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ভূখণ্ডের দখল নিতে চান এবং ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার একটি পরিকল্পনা সামনে এনেছেন। এ পরিকল্পনার বিপরীতে সউদী আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলো বিকল্প উদ্যোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। রয়টার্স ও আরব নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে সউদী আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশ এ মাসেই সউদী রাজধানী রিয়াদে বৈঠক করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও এতে অংশ নেবেন। বৈঠকে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠন ও হামাসকে পাশ কাটিয়ে চুক্তি করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুসারে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে জর্ডান ও মিসরে পুনর্বাসন করা হবে। তবে কায়রো ও আম্মান এই প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, এ ধরনের পরিকল্পনা অঞ্চলের অস্থিতিশীলতা আরও বাড়াবে।
বিশেষ করে সউদী আরব ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হতাশ। কারণ এতে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের দাবি দুর্বল হয়ে যাবে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সউদী আরব, মিসর ও জর্ডানসহ ১৫টি সূত্র ট্রাম্পের পরিকল্পনার বদলে দ্রুত বিকল্প প্রস্তাব আনার কথা বলেছে।
মিসরের একটি খসড়া প্রস্তাব বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এতে হামাসকে বাদ দিয়ে একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটির মাধ্যমে গাজা পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় গাজার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে।
রিয়াদে আলোচনার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি আরব সম্মেলনে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে। সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। জর্ডানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, তারা বিকল্প পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে এবং সউদী যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সউদী আরবের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এ মাসে একটি সম্মেলন হবে, যেখানে ট্রাম্পের যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের আয়োজন করছে রিয়াদ।
হোয়াইট হাউস আরব দেশগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘এই মুহূর্তে একমাত্র পরিকল্পনা ট্রাম্পের, যদিও তারা এটি পছন্দ করে না। তবে তাদের যদি ভালো কোনো পরিকল্পনা থাকে, এখনই তা উপস্থাপন করা উচিত।’ আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য আসেনি। তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আরব নিউজ
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com