ডেস্ক রির্পোট:- আট বছর ধরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় কাটিয়েছেন। অবশেষে বিহার রাজ্যে গয়া বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হলেন। গ্রেপ্তারকৃত প্রবীণ একজন বাংলাদেশি নাগরিক। ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে রবিবার এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম বাবু জো বড়ুয়া ওরফে রাজিব দত্ত। বাংলাদেশের বাসিন্দা এই প্রবীণ ছদ্মবেশে দীর্ঘ সময় বিহারের গয়ায় একটি মঠে বাস করেছেন।
গ্রেপ্তার হতে পারেন—বিভিন্ন সূত্রে এমন খবর পেয়ে তাড়াহুড়া করে ভারত ছাড়তে চেয়েছিলেন এই বাবু। শুক্রবার থাইল্যান্ড যাওয়ার জন্য গয়া বিমানবন্দরে যান।
টিজি ৩২৭ ফ্লাইটে করে ভারতীয় পাসপোর্টে (এক্স ৭০৩৭৮৪৮) থাইল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু নিরাপত্তাক্ষীরা তাকে আটকে দেন।
বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার কাছে আসল পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না। তার কাছে অন্যান্য যে পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে, সেগুলো সবই নকল।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ গয়ার মগধ মেডিক্যাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন অভিযুক্তকে।
পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বাবু নকল ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে উঠতে গিয়েছিলেন। তবে বিমানবন্দরে যখন যাত্রীদের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছিল, তখন অভিযুক্তের সন্দেহজনক আচরণ নজরে আসে নিরাপত্তারক্ষীদের। তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ওই ব্যক্তিকে। তাতেই মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারের পর বাবু স্বীকার করেন, তিনি বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে আট বছর ধরে ভারতে রয়েছেন। তিনি মূলত বাংলাদেশের নাগরিক। তার কাছ থেকে মিলেছে বিভিন্ন নামে ভারতীয় পাসপোর্ট। পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন পরিচয়ের আধার ও প্যান কার্ড। একই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এক হাজার ৫৬০ থাই বাথ, পাঁচ ইউরো, ৪১১ মার্কিন ডলার এবং তিন হাজার ৮০০ ভারতীয় রুপি।
এ ঘটনা নিয়ে গয়ার পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট আশিস ভারতী বলেন, ‘ভিসা, পাসপোর্ট ছাড়া এক বাংলাদেশি ব্যক্তি আট বছর বিহারে বাস করছিলেন। সম্প্রতি তিনি গয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযুক্তের যত পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে, তার সবই নকল ও ভুয়া। গয়া বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
গ্রেপ্তার বাবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮ (৪), ৩৩৬ (৩) ও ৩৪০(২) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ভারতীয় পাসপোর্ট আইনেও মামলা করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার পত্রিকা, ইটিভি ভারত
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com