খাগড়াছড়ি:- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা খাগড়াছড়িতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। একই সাথে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলকে সহাবস্থান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে খাগড়াছড়িতে শিক্ষক সোহেল রানা ও ব্যবসায়ী মামনুকে পিটিয়ে হত্যার জেরে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক অনুদান প্রদান ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা নিহত ব্যবসায়ী মামুন, রুবেল ত্রিপুরা ও জুনাল চাকমার বাড়ীতে যান ও খোঁজখবর নেন। প্রাথমিকভাবে নিহত প্রত্যেক পরিবাররকে ১ লাখ টাকা করে প্রদান করেন এবং পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। এ সময় মামুনের পরিবারের সদস্যদের আজাহারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
এর আগে উপজেলা পরিষদ মিলনাতয়নে সম্প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত ২৩৭ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। সন্ধ্যায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় জলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টৈাবর) উপদেষ্টা দীঘিনালায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও সহিংসতায় নিহত ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ীতে যাবেন।
উল্লেখ, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে মামুন নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদের পরের দিন দীঘিনালায় বিকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে সন্ত্রাসীরা গুলি-হামলা চালালে সহিংসতার সূত্রপাত হয়। খাগড়াছড়ি জেলা সদরে সেনাবাহিনীর উপরও পাল্টা গুলি চালানো হয়। সহিংসতায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ২ জন ও দীঘিনালায় অপর একজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক দোকানপাটে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে গত ১ অক্টোবর একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির ত্রিপুরা এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার জেরে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সংর্ঘষ ও অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com