ডেস্ক রিপোট:- সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারা দেশে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সহিংসতাকে কেন্দ্র করে এক নারী শিক্ষার্থীর ছবি প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, মেয়েটি গত ২২ জুলাই পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন।
ওই নারীর নাম আনিকা তাসনিম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া আনিকার মারা যাওয়ার খবরটি গুজব। আনিকা সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন। তিনি নিজেই ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ খবর জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) আনিকা তাসনিম তার ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, জন্মদিনের দিন পাঁচেক আগে নিজের মৃত্যু সংক্রান্ত পোস্ট লেখার কোনো ইচ্ছা ছিল না। না লিখেও কোনো উপায় দেখছি না।
আলহামদুলিল্লাহ আমি বেঁচে আছি, সুস্থ আছি, ভালো আছি। কোনোরকম গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ রইলো। এবং কেউ র্যান্ডম যেকোনো পোস্টে মেনশন না করলে খুশি হবো! এভরিথিং হ্যাজ এ লিমিট।
আমার ভাই-বোনেরা দেশের জন্য যা করছে, সে তুলনায় কিছুই করতে পারিনি। কথা বলার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ টপিক আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের আগে সরকারি চাকরিতে কোটায় প্রায় ৫৬ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হতো। তবে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার।
সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।কালবেলা
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com