ডেস্ক রির্পোট:- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা জানিয়েছেন, হল ছাড়লেও তারা বাড়ি ফিরবেন না।
বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়কারী মাহিম হোসেন বলেন, ‘দুই দিন আগে ছাত্রলীগ আমাদের ওপর যেভাবে হামলা চালিয়েছে আজকে ঠিক একইভাবে পুলিশ আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
আমরা হলে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য আছে আজকে পুলিশ যেকোনো সময় হলে রেট দিতে পারে। তাই আমরা হল ছেড়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘হল ছাড়লেও আমরা আছি, আমরা কোথাও যাচ্ছি না।
আমাদের সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে, তারা হল ছাড়লেও যেন ঢাকা না ছাড়ে। কোটা সংস্কার আন্দোলন এখানেই শেষ হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই আমরা আন্দোলন শুরু করব।’
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে কোনো আন্দোলন হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটি আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানিয়ে দেব।
’
আজকে পুলিশের হামলায় কতজন আহত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট করে কতজন আহত হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমার চোখের সামনে অনেককে আহত হতে দেখেছি।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য ও টিএসসিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং চারপাশে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে টিএসসিতে গায়েবানা জানাজা পড়তে ব্যর্থ হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গায়েবানা জানাজা পড়েন। জানাজা শেষে ক্যাম্পাসে কফিন নিয়ে মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ওই মিছিলে একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ সময় পুলিশ আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, রাজু ভাস্কর্য, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com