বান্দরবান:- ঈদের ছুটিতেও বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রেগুলোতে স্থানীয় লোকজন ছাড়া পর্যটকদের তেমন আনাগোনা দেখা যায়নি। টানা ছুটিতে পাহাড়ে মেঘের মিতালী সৌন্দর্যের উপভোগ করতে পর্যটকদের জন্য হোটেল সাজিয়ে রাখলেও আশানুরুপ পর্যটক না আসায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
পাহাড়ের নানা সমস্যা কারণে হোটেল-গাড়ি ও ট্যুরিস্ট গাইডসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মুখ থুবরে পড়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের। জেলা জুড়ে পার্শ্ববর্তী পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অধিকাংশ স্থানীয় ছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকদের তেমন আগমন ঘটেনি। যার ফলে খালি রয়েছে হোটেল-মোটেল। পর্যটকদের আনাগোনা কম হওয়াই স্টেশন থেকে চাঁদের গাড়ি তেমন ছেড়ে যায়নি।
বান্দরবানের শহরে নিকটবর্তী নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক ও নীলগীরিসহ বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র খোলা রয়েছে। সেসব কেন্দ্রগুলোতে অধিকাংশ স্থানীয় পর্যটক। কেউ এসেছেন কেরানীহাট আবার কেউ চট্টগ্রাম থেকে। মোটরসাইকেল দিয়ে পর্যটকরা আসলেও কিছুক্ষণ ঘুরে পাড়ি জমান পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙ্গামাটিতে। স্থানীয় পর্যটকরাও ঘোরা শেষে চলে যান নিজ এলাকায়। তাছাড়া হোটেল মালিকরা বিশেষ ছাড় দেওয়া পরও পর্যটকরা আসছেন না সৌন্দর্যের ঘেরা পাহাড়ী কণ্যা বান্দরবানে।
পর্যটন ব্যবসায়ী ও জিপ মালিকেরা জানিয়েছেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার কারণে স্থানীয় ও পর্যটকদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যার কারণে স্থানীয় ছাড়া পর্যটকদের পদচারণায় তেমন মুখরিত হয়নি। গেল বছরে পাহাড়ের স্বাভাবিক অবস্থা থাকার ফলে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছিল। এতে জেলা জুড়ে সবক্ষেত্রে ব্যবসা বেশ চাঙ্গা হয়েছিল। পুনরায় আবার সেই ব্যবসা ধস নেমেছে। পর্যটক না আসায় স্টেশন থেকে মাত্র ২০টি চাঁদের গাড়ি ছেড়ে গেছে। গত বছরে পর্যটক বেশী হওয়াই গাড়ি সার্ভিস দিতে হিমসিম খেতে হয়েছিল মালিকদের । কিন্তু চলমান পরিস্থিতি কারণে সবাইকে আবার অলসতা সময় পার করতে হচ্ছে। পাহাড়ের পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান করে পুনরায় বান্দরবান জেলাকে পর্যটন নগরী হিসেবে রূপান্তর করা দাবি জানান তারা।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে টিকেট কাউন্টার থাকা সুমি ত্রিপুরা জানান, সারাদিনে এক হাজার দুইশত মতো টিকেট বেচাকেনা হয়েছে। তবে বেশীর ভাগই স্থানীয় পর্যটক।
গ্রীনল্যন্ড ম্যনেজার ও অরণ্যের হোটেল মালিক সুমন ও জসিম বলেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি খারাপের কারণে পরযটকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে। যার কারণে ঈদে পর্যটকদের তেমন আনাগোনা নেই। চলমান পরিস্থিতি কারণে হোটেল মালিকদের ক্ষতি ছাড়া লাভ হচ্ছে না। ঈদে টানা ছুটিতে সারাদিনে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বুকিং হয়েছে বলে জানান তারা।
জিপ ও কার মালিক সমিতি লাইনম্যান কামাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এই বছরে আশানুরুপ পর্যটক আসেনি। সারাদিনে স্টেশন থেকে মাত্র ২০টি চাঁদের গাড়ি ছেড়ে গেছে।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ঈদের টানা ছুটিতে মোটামুটি পর্যটকদের আগমন ঘটেছে। জেলা শহরে হোটেল মোটেলের ৬০ শতাংশ বুকিং হয়েছে বলে দাবি করে তিনি।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com