ডেস্ক রির্পোট:- ইসরাইলের সম্মতিক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া গাজার শান্তিচুক্তি প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সেটির ওপরই জোর দিচ্ছে। কিন্তু ইসরাইল এখনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে অগ্রগতি হচ্ছে না।
সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদেও গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল এখনো তা মেনে নেয়ার কথা বলছে না। আর হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়।
গত ২৭ মে ইসরাইল যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। এতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ প্রথমে ছয় সপ্তাহে প্রথম ধাপের অস্ত্রবিরতিতে যবে। এ সময় তারা বন্দী বিনিময় করবে। দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু এখানে যদি কোনো অবস্থাতেই ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়? হামাস তাই শুরুতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দাবি করছে।
ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায় বা ধাপটির স্থায়িত্ব হবে ছয় সপ্তাহের। এতে যদি সমঝোতা না হয়, তবে তা সম্প্রসারিত করা হবে। কিন্তু হামাস মনে করছে, এই প্রস্তাবে ইসরাইলকে যুদ্ধ আবার শুরুর অধিকার দেয়া হয়েছে।
মধ্যস্ততাকারীরা বলছেন, হামাস আরো কয়েকটি সংশোধনী দাবি করছে। তবে সেগুলো খুবই ছোটখাট। সেগুলো সমাধান করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টিই এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বার বার বলে আসছেন, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।
তিনি আরো দাবি করেছেন, তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এই যুদ্ধে তাদের লক্ষ্য পূরণের বিষয়টি অনুমোদন করা রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে হামাস মনে করছে, ইসরাইল কেবল যুদ্ধবিরতির প্রথম অংশটুকু বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমৈ তারা জীবিত নারী, বয়স্ক এবং অসুস্থ পণবন্দীদের মুক্ত করিয়ে নেবে। এসব বন্দী মুক্ত হলেই তারা পূর্ণ গতিতে আবার হামলা চালাবে। এমনকি তখন হামলার গতি হবে আরো ভয়াবহ। সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, আল জাজিরা এবং অন্যান্য
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com