ডেস্ক রির্পোট:- চলতি অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি যাচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। আগামী জুন মাসের মধ্যে ৩৩৯টি প্রকল্প শেষ করতে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। সেটি পালন করায় এবারই প্রথম সর্বোচ্চসংখ্যক ৩৩৪টি প্রকল্প সমাপ্ত হচ্ছে। বাস্তবায়ন শেষ হচ্ছে বহুল আলোচিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতু ও কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পও। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় শুধু ৫টি প্রকল্প যুক্ত করা হবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে।
সবচেয়ে বেশিসংখ্যক স্বাস্থ্য খাতের ৪৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতের ৪৩ এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকা কৃষি খাতের ২৭টি প্রকল্প শেষ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং পরিকল্পনা কমিশনের কঠোর অবস্থানের কারণে সমাপ্ত প্রকল্পের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, এবার আমরা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিয়েছি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান এবং ব্যাপক তদারকি করা হয়েছে। এজন্য চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, যেসব প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য আছে সেগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে শেষ করে ফেলতে হবে। আমরা গত ডিসেম্বর মাস থেকে এসব প্রকল্পের পেছনে লেগে ছিলাম। কোথাও কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলোরও সমাধান করা হয়েছে। যার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে নির্ধারিত ৩৩৯টি প্রকল্পের মধ্যে ৩৩৪টি এবং শেষ করার জন্য নির্ধারিত ছিল না এমন ২২টি প্রকল্পসহ এ বছর শেষ হবে মোট ৩৫৬টি প্রকল্প। এর আগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় শেষ করার জন্য নির্ধারিত প্রকল্পগুলো আবশ্যিকভাবে সমাপ্ত করতে হবে। এছাড়া এসব প্রকল্পের মেয়াদ আর বৃদ্ধি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত দেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এরও আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত প্রকল্পগুলো বাধ্যতামূলকভাবে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এসব কঠোর অবস্থানের কারণে প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সমাপ্ত হতে যাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো-কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ এবং ভাসমান বেডে সবজি ও মসলার চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প। এছাড়া বীজ প্রত্যয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-২, ইন্সটলেশন অব প্রিপেইড গ্যাস মিটার ফর টিজিটিডিসিএল, ডিপিডিসির আওতায় ঢাকার কাওরান বাজারে ভূগর্ভস্থ উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট। আরও আছে যাত্রাবাড়ী (মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার)-ডেমরা (সুলতানা কামাল সেতু) মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল সংযোগ নির্মাণ এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প।
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে পরিকল্পনা কমিশন এবং আইএমইডি সবাই সোচ্চার ছিলেন। মন্ত্রণালয়গুলোকে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়। এর ফলে এত বেশি প্রকল্প শেষ করা যাচ্ছে। আগামী অর্থবছর থেকে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। অর্থাৎ লক্ষ্যের শতভাগ পূরণ হতে পারে। আগে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক ক্ষেত্রে গাফিলতি ছিল। সেই সঙ্গে দক্ষতার অভাব, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়া অনুমাননির্ভর প্রকল্প নেওয়া এবং বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ ঠিকমতো না করায় সময়মতো প্রকল্পের বাস্তবায়ন হতো না। পরে আমরা চেষ্টা করেছি ওয়ার্ক প্ল্যান নেওয়ার।যুগান্তর
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com