ডেস্ক রির্পোট:- আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক সংস্কার করতে হচ্ছে। সর্বশেষ এক দিনে ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আবার ব্যাংকের স্মার্ট সুদহার তুলে দিয়ে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে তুলবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পদক্ষেপ আগেই নেওয়া দরকার ছিল। এখন সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরতে একটু সময় লাগবে।
উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম আরও বাড়বে, যা উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলবে। সরকার-ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীদেরও এর ধকল সইতে হবে। ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে কাঁচামাল আমদানির ব্যয় আরও বাড়বে। আর সুদহার বেড়ে যাওয়ায় আর্থিক ব্যয়ের বোঝা বাড়াবে সংকটে থাকা কোম্পানিগুলোর। নতুন করে লোকসানে পড়তে পারে এসব প্রতিষ্ঠান। খরচ বাড়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণ বন্ধ হয়ে যাবে, স্থবির হয়ে পড়বে নতুন কর্মসংস্থান। সরকারি-বেসরকারি বিদেশি ঋণ আরও ব্যয়বহুল হবে। পুঁজিবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহারের পাশাপাশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাও নিরুৎসাহিত হবেন। শুধু তা-ই নয়, বিপিসির তেল আমদানি খরচ বেড়ে যাবে, আমদানিনির্ভর প্রকল্পে খরচ বেড়ে যাবে। সারের দাম আরও বাড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতি যতটা না বাড়বে, তার চেয়ে বেশি বাড়বে ডলার সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে। অবশ্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশ^ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ডলারের দাম ১১৭ টাকা করা হলেও এটি বরাবরই ১১৮ টাকার ওপরই ছিল। আমদানিকারকরা এত দিন যে এলসি (ঋণপত্র) খুলেছিলেন, সেখানে ১১০ টাকা দিয়ে কেউ ডলারই পাননি। আমদানিতে এর প্রভাব পড়ার কথা না। কারণ এর আগে তারা এর চেয়ে বেশি দাম দিয়ে ডলার কিনেছেন। ডলার দামের প্রভাব পড়বে সেখানে, যেখানে মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১১০ টাকা ব্যবহার করা হতো। বিপিসির যে পণ্য ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, এগুলোতে ফরমুলাভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ চালু হয়েছে, সেখানে যেহেতু তারা ডলারের অফিশিয়াল রেট ব্যবহার করত, আগামী মাসে যখন সমন্বয় হবে, এই ৭ টাকার প্রভাব তখন পড়বে। আর সার যেহেতু সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনে আমদানি করে, সে ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।
এই অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তখন, যখন কেউ সুযোগ সন্ধানী আচরণ করবেন। কেউ এটা উপলদ্ধি করছেন না যে বাজারে ১১০ টাকা তো অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিল। এখন সুযোগ নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী যদি দাম বাড়িয়ে দেন, সেটির প্রভাব পড়বে। যদিও তাদের আমদানি খরচ বাড়বে না।
চলমান সংকটের মধ্যেই টাকার বিপরীতে এক লাফে ডলারের দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে এক দিনেই টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। খোলাবাজারে ১২৫ টাকা ছাড়িয়েছে ডলারের দাম।
ডলারের দাম বৃদ্ধি ও সুদহার বাজারভিত্তিক করার প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের প্রভাবই পড়বে। ইতিবাচক হলো এর ফলে অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে, রপ্তানি আয় বাড়বে, প্রবাসী আয়ে তারা বেশি টাকা পাবে, বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসার প্রবণতা বাড়বে। আর নেতিবাচক প্রভাব যেটা পড়বে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এর ফলে আমদানি করা মূল্যস্ফীতি উসকে দেবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অর্থনীতিতে শুধু এক্সচেঞ্জ রেট দিয়ে তো আর ব্যয় নির্ধারিত হয় না। যোগাযোগ, ফিসক্যাল ডিউটি থেকে শুরু করে ব্যবসা পরিবেশসহ অনেক কিছুর ওপর ব্যয় নির্ভর করে। এখন আমরা যদি আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে পারি, ব্যবসা পরিবেশ যদি উন্নত করতে পারি, সুশাসন, সাশ্রয়ীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে যে নেতিবাচক প্রভাবগুলো পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেগুলো কমবে।’
তিনি আরও বলেন, এখন আবার সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। ফলে বেসরকারি খাতের ঋণ কমে যাবে, যার নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। এখন অন্যান্য দিকেও নজর দিয়ে যদি সামষ্টিক অর্থনীতিকে ঠিক করা যায়। এই পেইনটা নিতেই হবে। এটি আগেই করা উচিত ছিল, তারা দেরিতে হলেও করেছে। আগের যে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, সেখানে আসতে একটু সময় লাগবে।
প্রভাব পড়বে পুঁজিবাজারে
এক দিনের ব্যবধানে ডলারের রেকর্ড দাম বৃদ্ধির প্রভাবে পুঁজিবাজারে আবারও বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত দুই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের কারণে বিদেশিরা মুদ্রা বিনিময়জনিত কারণে ব্যাপক লোকসানে পড়েন। ফলে গত জানুয়ারিতে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বিদেশিরা ধারাবাহিকভাবে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দেন। বিদেশিদের বিক্রিচাপ সামলাতে না পারায় ব্যাপক দরপতন দেখা দেয়। গত ১৮ জানুয়ারির পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮১৮ পয়েন্ট বা প্রায় ১৩ শতাংশ কমে যায়। পরে বাধ্য হয়ে শেয়ার দর ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না, এমন নির্দেশনা জারি করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি। এতে করে সাময়িক ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা গেলেও গত বৃহস্পতিবার থেকে আবারও পতন শুরু হয়েছে।
আগামীতে ডলারের বিপরীতে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হতে পারে এমন আশঙ্কায় বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি বাড়িয়ে দিতে পারেন বলে শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা। ফলে আবারও বড় ধরনের চাপে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার।
শুধু ডলারের দাম নয়, ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়তে থাকার প্রভাবও পুঁজিবাজারে রয়েছে। শেয়ার ক্রয়ে পাওয়া মার্জিন ঋণ এখন ২০ শতাংশের বেশি। অনিশ্চিত বাজারে বিপুল সুদহারে ঋণ নিয়ে পতনের বাজারে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইছেন না। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে। ফলে ক্রেতা কমে গিয়ে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদেশি ঋণের খরচ আরও বাড়ল
ডলারের দাম বাড়ায় নতুন করে বিপাকে পড়েছেন সরকার ও বিদেশি ঋণ নেওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরা; বিশেষ করে যাদের ডলারে আয় নেই, তাদের লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হতে পারে। সিমেন্ট, ইস্পাতসহ বেশ কিছু খাত রয়েছে, যেগুলো মূলত স্থানীয় বাজারনির্ভর। এসব কোম্পানিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আরও অন্তত সাড়ে ৬ শতাংশ হারে লোকসান গুনতে হবে। এর মধ্যে সরকারি অনেক কোম্পানিও রয়েছে।
২০২৩ সাল শেষে সরকার ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ১০০ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৬৪ কোটি ডলার; যা দেশীয় মুদ্রায় ১১ লাখ ৭ হাজার ৪০ কোটি টাকার সমান (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। এখন ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ায় টাকার অঙ্কে বিদেশি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা; অর্থাৎ এক দিনেই টাকার হিসাবে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৭০ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা।
মোট বিদেশি ঋণের মধ্যে সরকারি খাতে ৭৯ শতাংশ আর বেসরকারি খাতে ২১ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে সরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ হাজার ৯৬৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে গত ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৫ কোটি ডলার।
এ ছাড়া সুদহার বাজারভিত্তিক হওয়ায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ হারে ঋণ নিতে পারত। এখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋণের সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ফলে সুদহার এক বছরের ব্যবধানে ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সিমেন্ট কিংবা ইস্পাতের মতো কোম্পানিগুলো যাদের বড় আকারের মূলধন প্রয়োজন, সেসব প্রতিষ্ঠান আবারও বিপাকে পড়তে যাচ্ছে।
বাড়বে সরকারি প্রকল্পের ব্যয়
প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে ২৫৭টি। মোট প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ২২৩টি। আবার বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে যন্ত্রপাতি আমদানিনির্ভর। বিদেশি ঋণের বিপরীতে টাকায়, অর্থাৎ স্থানীয় মুদ্রায় রিটার্ন আসার কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হওয়ার কারণে বিদেশি ঋণের ব্যয় বেড়ে যাবে। সে জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য যে বিদেশি ঋণ অপেক্ষমাণ আছে, সেগুলোর অতিরিক্ত সুদের ব্যয় এড়াতে দ্রুত ব্যবহার দরকার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ঋণনির্ভর প্রকল্পে ব্যয় প্রসঙ্গে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যেহেতু সেখানেও সরকারি হিসাবটাই ধরা হয়। তাই টাকার দামে প্রকল্পের হিসাবটা বদলাবে। বাজেটেও সুদের ব্যয়ে তারা অফিশিয়াল রেট ব্যবহার করে। সেখানেও ব্যয় বাড়বে। এগুলো টাকার অঙ্কে ব্যয় বাড়বে।
ব্যর্থ হতে চলেছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ
চলতি বছরের শুরু থেকেই ক্রমাগত ঋণের সুদহার বাড়ালেও এখনো দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। টানা ২২ মাস ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, সর্বশেষ মার্চেও দেশে মূল্যস্ফীতির গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। চলতি মে মাসের ১১ দিন পার হলেও এখনো এপ্রিলের মূল্যস্ফীতির তথ্য জানায়নি বিবিএস। তবে সুদহার বৃদ্ধি ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা, তাতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০২২ সালের ১২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে যোগ দিয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছিলেন, ‘শিগগির মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।’ একই বছরের ২২ আগস্ট তিনি জানান, অভ্যন্তরীণ সববরাহ বাড়িয়ে বৈশি^ক এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগের ফলে মূল্যস্ফীতি আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। যদিও বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে গভর্নর জানান, আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে নামবে এবং ধীরে ধীরে তা ৬ শতাংশের ঘরে আসবে বলেও জানান। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। জুন মাস ঘনিয়ে এলেও মূল্যস্ফীতি কমেনি; বরং ডলার ও সুদহার বৃদ্ধির কারণে আগামীতে তা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ডলার ও সুদহার বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব প্রসঙ্গে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, এখন ডলারের জোগান কমে যেতে পারে। এই দর নির্ধারণের আগে দেশের ব্যাংকিং সিস্টেমে বিদেশি মুদ্রার যে মজুদ বেড়েছে, তার বড় কারণ ছিল তারা বাজার দরে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে ডলার কিনত না। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো রকম অনিয়ম করেনি। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা দিল ১১৮ টাকার বেশি দরে ডলার কিনতে পারবেন না। তাহলে আগে এর চেয়ে বেশি দামে কেনা ডলারগুলো তো আসবে না। ফলে ডলারের সংকট বেড়ে যাবে। ডলারের সংকট বেড়ে যাওয়ায় আমদানি কমানোর প্রয়োজন হবে।দেশ রূপান্তর
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com