ডেস্ক রির্পোট:- স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ মনে করেন রাজনীতির দুরবস্থার কারণে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে। এর প্রভাব প্রতিটি নির্বাচনে পড়ছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ নেই। উপজেলার প্রথম ধাপের ভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা তো গোড়াতে। দেশে রাজনীতির কী অবস্থা? রাজনীতি না থাকলে দেশে কোথা থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। যে নির্বাচন হচ্ছে এই নির্বাচনে অন্য কোনো দল নাই, অংশগ্রহণ নাই। এমনকি জাতীয় পার্টিও তো নাই। তাহলে এটা কী নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচন নিয়ে কি বিশ্লেষণ বা মন্তব্য করবো? তিনি বলেন, অতীতে যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সংস্কৃতি ছিল সেগুলো ভুলে যান। আমি নিজেও এখন আর এসব নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী নই।
এই নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষণ করার মতো কিছু নেই। এবারে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ দেয়া হলো মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজনরা যেন নির্বাচন না করে। এ ধরনের নির্দেশ দিয়ে আপনি তো জনগণের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে পারেন না। একজন মন্ত্রী-এমপি’র আত্মীয় বলে কি তার সাংবিধানিক অধিকার নাই নির্বাচন করার। এটি বন্ধ করবেন কি করে? এগুলো হচ্ছে জোরজবরদস্তি করা। এখন দুই দলেরই সংকট হচ্ছে। কোনো দলেরই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের কথা শুনে না। আর হাইকমান্ডেরও কমান্ড দেয়ার মতো কোনো রকম দৃঢ়তা নেই। তাদের যে নির্দেশনাগুলো এগুলো সাধারণ নেতাকর্মীদের স্বার্থে না। এজন্য তৃণমূল নেতাকর্মীরাও তাদের কথা শুনে না। বিএনপি এত লোক বহিষ্কার করার পরও অনেক লোক নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের নির্বাচনে দাঁড়াতে বারণ করেছে তারপরও তো তারা বসে না থেকে নির্বাচনে ছিল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও দলগুলোর কথা শুনছে না এবং দলগুলো তাদের কাছ থেকে কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন ধাপে ধাপে করার কোনো অর্থ নাই জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে ধাপে ধাপে নির্বাচন হয় কিন্তু ফল প্রকাশ করে না। কিন্তু আমাদের এখানে তো ফল প্রকাশ করে দেয়া হয়। এতে করে একধাপের নির্বাচন অন্য ধাপের নির্বাচন প্রভাবিত করে এবং সংঘর্ষ বেশি হয়।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com