আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- মায়ানমারের জান্তাবাহিনী যখন বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণে চাপে রয়েছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীগুলোর নিজেদের মধ্যেই অন্তঃকোন্দলের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
থাইল্যান্ডভিত্তিক মায়ানমার বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতিতে গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের শান শহরের কুটকাই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহী গণতন্ত্রপন্থি সশস্ত্র সংগঠন মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) ও শান প্রদেশের স্থানীয় সশস্ত্র সংগঠন তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশনের (টিএনএলএ) যোদ্ধাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার স্থানীয় কৃষি অফিসের সামনে সাতজন যোদ্ধাকে মোতায়েন করেছিল টিএনএলএ। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত প্রায় ১০০ এমএনডিএএর যোদ্ধাদের একটি দল এতে আপত্তি জানায়। কিন্তু টিএনএলএর যোদ্ধারা সেই আপত্তি অগ্রাহ্য করে। পরে এমএনডিএর যোদ্ধারা তাদের গ্রেপ্তার করে।
এমএনডিএর এক সূত্র নাজিনজারাকে জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া টিএনএলএ সেনাদের অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
এদিকে টিএনএলএর একজন কর্মকর্তা দ্য ইরাবতিকে জানিয়েছেন, এমএনডিএ যোদ্ধারা কৃষি অফিসের আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। সেই এলাকায় পাওয়া সব টিএনএলএ যোদ্ধাকে তারা আটক করছিল। সাতজন নয়, তাদের ৩০ জন সেনাকে আটক করা হয়েছিল। যদিও শনিবার অক্ষত অবস্থাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
শনিবারই এমএনডিএএর যোদ্ধারা জব্দ করা অস্ত্রও ফেরত দিতে চেয়েছিল। কিন্তু টিএনএলএ তা প্রত্যাখ্যান করে। এতেই দুই গোষ্ঠীর বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যদিও টিএনএলএর মুখপাত্র লিউই ইয়েই ও জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে এমএনডিএর সঙ্গে তারা আলোচনা করেছে। তবে আলোচনার ফলাফল জানা যায়নি।
সবশেষ গত রবিবার কৃষি অফিসে টিএনএলএ সেনাদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এমএনডিএএ।
এমএনডিএএ ও টিএনএলএ এই দুই সশস্ত্র সংগঠনই জান্তাবিরোধী জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সদস্য। চীনের মধ্যস্ততায় শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগে দুই গোষ্ঠী জোটবদ্ধ হয়েই জান্তা সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইও করেছে। সূত্র: দ্য ইরাবতি
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com