ডেস্ক রির্পোট:- পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনে অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনেরও নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে মাঠ প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, আজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এতে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজিপি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সবার আলোচনার বিষয় ছিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে, আর কী সহায়তা দরকার সেটা।
ইসি সচিব বলেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে তা বলেছেন। পার্বত্য জেলাগুলোয় যেখানে হেলি সাপোর্ট দেওয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচদিনের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। কমিশন সেটা সম্মত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে। কমিশন সেটা বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। মূলত মাঠ প্রশাসনে যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করা যাবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশন আপিল করবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আদেশের কপি এখনও পাইনি। পেলে আপিল করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, জেলায় জেলায় কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে যে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।
জাহাংগীর আলম বলেন, তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলেনি। তারা যেটা বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে। এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। সহিংসতার আশঙ্কা করেনি। এ বিষয়টা গোয়েন্দা রিপোর্টে থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্বত্য জেলার নির্বাচনে সতর্কতার জন্য অধিক সতর্কতা অবলম্বের জন্য বলা হয়েছে।
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে ইসি সচিব বলেন, আচরণবিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছেন। কমিশনও সেটা আশ্বস্ত করেছে যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।
আগামী ৮ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত চার ধাপে দেশের পৌনে পাঁচশ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com