বান্দরবান:- বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম লাইরুনটি পাড়া ও ইডেনপাড়ায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আস্তানা ঘিরে রেখেছে যৌথবাহিনী। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাকে সরিয়ে উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত থেকে লাইরুনটি পাড়া ও ইডেনপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় অভিযানে নামে যৌথ বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক নারী ও শিশুকে নিরাপত্তার জন্য জন্য সরিয়ে এনে রুমার লুংঝিরিপাড়ায় অবস্থিত মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও বাংলা পাহাড়ে অবস্থিত খ্রিষ্টান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশ (সিএফবি) হোস্টেলে রাখা হয়েছে। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে দুপুর পর্যন্ত অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ শাজাহান বলেন, আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
রুমার মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শোয়ে প্রু চিং বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওয়েলফেয়ার ভবনের সামনে বম সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুদের জড়ো করা হয়েছে বলে জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে এসব নারী-শিশুকে আমাদের ওয়েলফেয়ার ভবনের সামনে জড়ো করা হতে পারে।
এমনই উত্তাল পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মারমা সম্প্রদায়ের ৫১টি পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে আশ্রয় নেয়। পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক হলে আট দিন পর তারা বাড়ি ফিরে যায়। একই বছরের ২০ এপ্রিল রুমার পাইন্দু ইউনিয়নের মুলপি পাড়া থেকে ৪৯ পরিবারের ২৩৬ জন মানুষ ভবনটিতে আশ্রয় নেয়। উত্তেজনা কমে এলে কয়েকদিন পরে তারা ফিরে যায় এলাকায়।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে রুমা উপজেলায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ। তারা সোনালী ব্যাংকে হামলা করে ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। লুট করে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করার পাশাপাশি দুটি ব্যাংকে লুটতরাজ চালানো হয়। এসব ঘটনার পরেই কেএনএফ দমনে অভিযানে নামে যৌথবাহিনী।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com