ডেস্ক রির্পোট:- রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করছে মিসরের ত্রাণবাহী ট্রাক।রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করছে মিসরের ত্রাণবাহী ট্রাক। ছবি: এএফপি।
গাজায় ত্রাণ নিয়ে তিন শর বেশি ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। ছয় মাস আগে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ শুরু হওয়ার পর এক দিনে এত বেশিসংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
তবে জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, গাজায় এখন লাখ লাখ অভুক্ত মানুষের জন্য যে পরিমাণ খাবারের চাহিদা রয়েছে, তা তুলনায় ত্রাণের পরিমাণ নিতান্তই কম।
ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে থাকা ইসরায়েল আজ সোমবার ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাকের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। ইসরায়েলের অঞ্চলগুলোতে সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়কারী সংস্থা (সিওজিএটি) সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এক্সে এক পোস্ট দিয়ে বলেছে, মোট ট্রাকের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ, ২২৮টি ট্রাকে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা মিসর সীমান্তের কাছে দক্ষিণ রাফাহ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করা কিছু ট্রাক পর্যবেক্ষণ করেছেন। অন্য ট্রাকগুলোও কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ঢুকেছে। অধিকাংশ ট্রাকেই পানি, চিনি, আটা ও অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই ছিল।
তবে দক্ষিণ থেকে কোনো ট্রাককেই গাজার উত্তরাঞ্চলে পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন অনেক মানুষ।
রাফাহ ক্রসিং পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র হিশাম আদওয়ান বলেছেন, যুদ্ধের আগে যে পরিমাণ সাহায্য গাজায় পৌঁছাত, তার তুলনায় আজকের ত্রাণের পরিমাণ ভগ্নাংশ মাত্র। তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকা বিশেষ করে, উত্তরাঞ্চল এবং গাজা সিটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে। দক্ষিণও ভুগছে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ে। এখানে তাই এভাবে দৈনিক ভিত্তিতে সাহায্য আনা যথেষ্ট নয়।’
জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা এবং অন্যান্য মানবিক গোষ্ঠীগুলো বলেছে, গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলে অভুক্ত মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক পণ্যের প্রয়োজন।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর ও মধ্য গাজা থেকে বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ এখন সবচেয়ে দক্ষিণের শহর রাফাহে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং স্থল আক্রমণের হুমকির মুখে রয়ে গেছেন।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com