ডেস্ক রির্পোট:- প্রতিবাদের সাহসী পদক্ষেপ। নিউ ইয়র্কের কিরিয়াস জোয়েলে ৮০০ জনেরও বেশি ইহুদি নারী যৌন ধর্মঘট শুরু করেছেন। দ্য মেট্রোর মতে, তাদের লক্ষ্য হলো একটি শতাব্দী-প্রাচীন ইহুদি আইন। যার ফলে নারীদের তাদের স্বামীর থেকে বিচ্ছেদ পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবাদী নারীদের বক্তব্য, বর্তমান ব্যবস্থায় বিবাহ বিচ্ছেদ চাইতে গেলে স্বামীর থেকে লিখিত অনুমতি আবশ্যক। ফলে বাধ্যত বহু স্ত্রীকেই অসুখী জীবনযাপন করতে হয়। 'খারাপ' বিয়ের ভার বহন করে যেতে হয় সারাজীবন । তাদের আশা, এই ধর্মঘটের ফলে স্বামীদের থেকে তথা বৃহত্তর সামাজিক গোষ্ঠীর কাছে বিচ্ছেদের দাবি জানানো সম্ভব হবে।
যদিও এই প্রতিবাদে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। রক্ষণশীলরা বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না। ধর্মঘটকারী নারীরা সোশ্যাল মিডিয়া হয়রানির সম্মুখীন হয়েছে এবং এমনকি ডিম ছুড়ে মারা হয়েছে তাদের।
বিজ্ঞাপন
কিরিয়াস জোয়েলের কঠোর ধর্মীয় আইন অনুযায়ী নারীদের পারিবারিক সহিংসতার বিষয়ে পুলিশে রিপোর্ট করার আগেও অনুমতি নিতে হয় । এই ধরনের পরিস্থিতিতে আটকে পড়া নারীরা ‘আগুনাহ’ বা "শৃঙ্খলিত নারী " বলে পরিচিত। ২৯ বছরের ইহুদি নারী মাল্কি বারকোভিটস প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন। ২০২০ সাল থেকে বিচ্ছিন্ন, তিনি তার স্বামী ভলভির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ পেতে অক্ষম হয়েছেন, যার ফলে তিনি তার ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না। প্রতিবাদী নারীদের আশা তাদের কঠোর পদক্ষেপ পরিবর্তন ডেকে আনবে এবং তাদের অসুখী বিবাহ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পথ প্রশস্ত করবে। ধর্মঘটের নেত্রী আদিনা সাশ দ্য ইকোনমিস্টকে বলেছেন, মাল্কি হল প্রত্যেক নারীর মুখ যারা লড়াই করছে এবং সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
এককথায় এই আন্দোলন থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন মাল্কির মতো ইহুদি নারীরা।
সূত্র : এনডিটিভি
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com