রাঙ্গামাটি:- সেগুন গাছ পাহাড়কে পানিশূন্য করছে মন্তব্য করে সেগুন গাছের একক বনায়ন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে বন বিভাগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক বন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বন সংরক্ষক বলেন, সেগুন বাগান কর্তনের পর যেন সেগুনের বাগান না করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। বনের অবক্ষয়ের কারণে এগুলো হয়েছে।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, বন ব্যবস্থাপনা ও জীববৈচিত্র্য সংক্ষণে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
বাঁশকে গরিবের কাঠ অভিহিত করে তিনি বলেন, বাঁশের ফার্নিচার অনেক সুন্দর হয়। বিশ্বে বাঁশের ফার্নিচার অত্যন্ত জনপ্রিয়। এজন্য টেকনোলজির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
বন সংরক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় অনেক ফার্নিচারের দোকান আছে। কিন্তু ফার্নিচার তৈরির দক্ষ জনবল নেই। তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী নেই।
অংশীদারত্বের মাধ্যমে সামাজিক বনায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, মানুষকে গাছের গুরুত্ব বোঝাতেই দিবসটি পালিত হয়। এর মধ্যে বৃক্ষরোপণও অন্তর্ভুক্ত। জলবায়ু পরিবর্তনের অশনি বিপদ থেকে রক্ষা করতে বনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গাছ থাকলে নিরাপদ থাকবে পরিবেশ। অক্সিজেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সবুজ বন পরিবেশের ভারসাম্যও বজায় রাখে।
জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে এবং জুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, রাঙ্হগামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল। বন বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ইউএসএফ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল রানা।
বন ও বনভূমির নিরাপত্তা রক্ষার্থে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com