বান্দরবান:-মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। খবর পেয়ে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৯ জন জান্তা সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সাত দিন ধরে তাঁরা এখানে রয়েছেন।
সীমান্তের আশারতলী গ্রামের ছৈয়দ হোসেন, আবদুস সালাম, মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, জামছড়ির ওপারে কাঁটাতার ঘেঁষে জান্তা সরকারের শতাধিক সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার অপেক্ষায় আছে। আজ রোববার বিকেলে তারা সীমান্তের সামান্য ভেতরে ঢুকে গেছে। আজ রোববার বিকেল নাগাদ এ দৃশ্য দেখেছেন তাঁরা।
জানা গেছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি, চাকঢালা, আশারতলি, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।
এদিকে সেক্টর-২-এর আরও শতাধিক সদস্য জামছড়ি জারুলিয়াছড়ি নুরুল আলম কোম্পানির লেবু বাগানের পাশে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছেন। এখানে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক সেনাসদস্য জড়ো হয়েছেন। আজকালের মধ্যে সীমান্তের জিরো লাইনে তাঁরা আশ্রয় নিতে পারেন বলে ধারণা করছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ নোবেলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com