গাজীউল হাসান খান:- সাংবাদিকতা এখন আর কোনো জনস্বার্থমূলক আদর্শনিষ্ঠ সেবা খাত নয়, পরিণত হয়েছে একটি পরিপূর্ণ শিল্পে। সম্পূর্ণ লাভ-ক্ষতিনির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রভাবে সংবাদপত্র শিল্প কিংবা গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও দ্রুত পরিবর্তন দেখা দেয়
ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতে আগত আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা জেইম অগাস্টাস হিকি ১৭৮০ সালে কলকাতা থেকে ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে সর্বপ্রথম একটি সাময়িকী প্রকাশ করেন। তার অনেক পরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে কাঙাল হরিনাথ মজুমদার ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। যা এ দেশে প্রতিবাদী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এখনো পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কাঙাল হরিনাথ পেশায় ছিলেন একজন প্রামীণ স্কুলশিক্ষক। নিজের সামান্য সঞ্চয় এবং কিছু ধার করা অর্থ দিয়ে ১৮৬৩ সালে তিনি যখন গ্রামবার্তা প্রকাশিকা বের করেন তখন সেটিই ছিল উপমহাদেশের প্রথম পত্রিকা, যা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কলম ধরে। মি. হিকি তৎকালীন ঔপনিবেশিক সরকারের তথ্য সম্প্রচারের স্বার্থে প্রকাশনা শুরু করলেও কাঙাল হরিনাথের উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
হরিনাথ ব্রিটিশ সরকারের রাজত্বে জমিদার ও মহাজন শ্রেণির শোষণ, নির্যাতন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রথম বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা শুরু করেন। তা ছাড়া তার প্রকাশিত পত্রিকায় জনস্বার্থে তিনি বিভিন্ন অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর তুলে ধরতেন। তখন গ্রামবার্তা প্রকাশিকা মূলত ছিল একটি হাতিয়ার, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিভিন্ন বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। তৎকালীন নীল চাষি, পাট চাষি, সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়ে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তৎকালীন ব্রিটিশ রাজ বা প্রশাসনের সঙ্গে একটি যোগসূত্র স্থাপন করা। সমাজের অধঃপতিত মানুষের প্রকৃত অবস্থা ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী কিংবা নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরা। তবে ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠী তাদের অপকর্ম কিংবা স্বার্থের প্রশ্নে যেহেতু ছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর, সেহেতু গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব ও সংঘাত সূচনা থেকেই দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। তৎকালীন পূর্ব বাংলার কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মতো একটি মফস্বল শহর থেকে সীমিত কলেবরে প্রকাশিত কোনো একটি সংবাদপত্র বা পত্রিকার পক্ষে তখন শাসক শ্রেণির সামান্য বাধা কিংবা বিরোধও কাটিয়ে ওঠা অত্যন্ত কঠিন ছিল।
কাঙাল হরিনাথ মজুমদার সম্পাদিত গ্রামবার্তা প্রকাশিকার আগে অর্থাৎ ১৮১৮ সালে শ্রীরামপুর থেকে প্রকাশিত হয়েছিল উপমহাদেশের প্রথম বাংলা সাপ্তাহিকী ‘সমাচার দর্পণ’। এ সময়ে ‘বেঙ্গল গেজেট’ নামে আরেকটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল বলে জানা যায়। তারপর কিছুটা সময়ের ব্যবধানে কলকাতা এবং ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকা বের হয়েছিল; যা মূলত উচ্চশিক্ষিত কিংবা অভিজাত শ্রেণির মনোরঞ্জনে নিবেদিত ছিল। এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন মফস্বল শহর কুমারখালীর দরিদ্র শিক্ষক-সাংবাদিক কাঙাল হরিনাথ মজুমদার। হরিনাথের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের হয়ে জমিদার, মহাজন ও ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করা। সে আপসহীন সংগ্রামে কাঙাল হরিনাথ হয়তো দীর্ঘদিন টিকে থাকতে পারেননি; তবে তার প্রতিবাদী ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে তিনি উপমহাদেশ কিংবা বাংলার সাংবাদিকতার ইতিহাসে নিজের নামটি অক্ষয়-অমর করে গেছেন। দুঃখ-দৈন্য ও চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও সাংবাদিকতার চলমান সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজও তার নামটিই এখনো টিকে আছে। অভিজাত শ্রেণির মনোরঞ্জনের জন্য যারা সাংবাদিকতার কল্পজগতে এসেছিলেন, কায়েমি স্বার্থ কিংবা শাসকশ্রেণির স্বার্থ উদ্ধারের জন্য তারা সবাই হারিয়ে গেছে ইতিহাসের অতল গহ্বরে।
মি. হিকি সর্বপ্রথম ১৭৮০ সালে কলকাতা থেকে একটি সাময়িকী প্রকাশ করলেও পরের বছরই তার প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ রাজ তার স্বার্থের পরিপন্থি হওয়ায় ব্রিটিশ নাগরিক (আইরিশ) হিকিকেও কোনো অনুকম্পা দেখায়নি। তখন থেকে অর্থাৎ ১৭৮০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, বিগত ২৪৩ বছরে সংবাদপত্র শিল্প কিংবা সাংবাদিকতার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সাংবাদিকতা এখন আর কোনো জনস্বার্থমূলক আদর্শনিষ্ঠ সেবা খাত নয়, পরিণত হয়েছে একটি পরিপূর্ণ শিল্পে। সম্পূর্ণ লাভ-ক্ষতিনির্ভর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রভাবে সংবাদপত্র শিল্প কিংবা গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও দ্রুত পরিবর্তন দেখা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপ কিংবা আমাদের উপমহাদেশেও সে ধারা অব্যাহতভাবে এগিয়ে যায়। পুঁজিবাদী অর্থনীতি বিকাশের ফলে বিশ্বব্যাপী শিল্প উদ্যোক্তারা বিশাল বিশাল করপোরেট বা বিজনেস হাউস গড়ে তোলেন।
বর্তমান বাংলাদেশে প্রিন্ট মিডিয়ার অগ্রগতি নানা কারণে কিছুটা ব্যাহত হলেও আমাদের ইলেকট্র্রনিক মিডিয়ার জগৎ অনেক বিস্তৃত। তা হলে তারা কোন কোন মারাত্মক বিষয়গুলো উদঘাটনে ব্যর্থ হচ্ছে তা তাদেরই ভাবতে হবে...
তাতে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সংবাদপত্র শিল্প কিংবা গণমাধ্যমকেও অন্তর্ভুক্ত করেন। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি ক্রমে ক্রমে ইলেকট্র্রনিক মিডিয়াও তার স্থান করে নেয়। ভারত, পাকিস্তান ও পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশেও একই ধারা পরিলক্ষিত হয়। ফলে জনস্বার্থমূলক বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ক্রমে ক্রমে তার ধার হারাতে থাকে। এবং বাণিজ্য, বিনোদন ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ প্রধান্য পেতে শুরু করে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নিজের স্থান করে নেওয়ার জন্য এই উপমহাদেশেও অনেকে গণমাধ্যমকে বেছে নেন তাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য। সংসদ কিংবা সিনেট সদস্য থেকে সরকারের মন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টা পর্যায়ে পৌঁছার জন্য অনেকে প্রকাশনা কিংবা প্রচার মাধ্যমকে বেছে নেন। তাতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিকরা পেশাগত দিক থেকে তাদের দায়-দায়িত্ব কিংবা অবস্থান হারিয়ে ফেলেন। অনেক ছাত্র কিংবা যুবকর্মী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ পেশায় যোগ দিতে এগিয়ে আসে। অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকও নেহাত কর্মসংস্থানের জন্য এ পেশায় ঢুকতে হন্যে হয়ে ওঠে। কিন্তু এখানে একটি বিশেষ কথা স্মরণে রাখতে হবে যে, সাংবাদিকতা পেশা সবার জন্য নয়। সত্যসন্ধানী কিংবা তথ্যসন্ধানীরা ভিন্ন জগতের মানুষ। আর অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার জগৎ তো সম্পূর্ণ ভিন্ন। তার জন্য প্রতিভার পাশাপাশি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। কবি জীবনানন্দ দাস যেমন বলেছেন, ‘সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।’ তেমনি সবাই সাংবাদিক নয়, কেউ কেউ তেমন পর্যায়ের সাংবাদিক হতে পারেন। তাদের অনেকের নাম আমরা জানি। অনেকের পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা জীবন-সংগ্রামের সঙ্গে আমরা পরিচিত। তারা সবাই যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ শিক্ষা লাভ করেছেন, তা নয়। তেমনি অনেক কবি-সাহিত্যিকের প্রতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই। কবি, সাহিত্যিক কিংবা একজন সফল সংবাদ কর্মীর প্রতিভা লুকায়িত থাকে তার মন, মননশীলতা ও দৃষ্টিভঙ্গির গভীরে। অনেকে বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকের মতো সৃষ্টিশীল মানুষ তৈরি করা যায় না। এটি এক ভিন্ন জগৎ, যদিও ভিন্ন ভিন্ন সাংবাদিকের দায়-দায়িত্ব ভিন্নতর। তবে একজন প্রকৃত সাংবাদিক জানেন কোথায় তার প্রকৃত তথ্য বা সত্য চাপা পড়ে আছে। জনস্বার্থে কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে সেটিই তার অনুসন্ধানের মূলক্ষেত্র। সেখানে সে আপস করতে সম্মত হয় না।
জনস্বার্থ কিংবা জাতীয় স্বার্থে সত্যানুসন্ধান কিংবা তথ্যানুসন্ধান খুব সহজ কাজ নয়। সেখানে অনেক ঝুঁকির পাশাপাশি লুকিয়ে থাকে কায়েমী স্বার্থের বিভিন্ন দ্বন্দ্ব-সংঘাত। তাতে অনেকের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিবেচনার বিষয়টি হচ্ছে দুর্নীতি, সামাজিক অনাচার, অবিচার ও জাতি বিধ্বংসী অপরাধের ক্ষেত্রগুলো শনাক্ত করে কীভাবে তাকে প্রকাশ করতে হবে। সে কাজে তাকে কী কী কৌশল অবলম্বন করতে হবে। সৃষ্টিশীল কিংবা গঠনমূলক বিভিন্ন ক্ষেত্রেও লাগসই কৌশলের কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া, শেষ বিচারে তথ্যের কার্যকর উপস্থাপনাও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কাজগুলো সার্থকভাবে সবাই করতে পারবে- এমনটা আশা করা অনেকটা দূরাশার মতো। কারণ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি, অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং চক্রান্তের বেড়াজাল বর্তমান করপোরেট সাংবাদিকতাকে অনেক জটিল ও কণ্টকাকীর্ণ করে তুলেছে। সে কারণে খোলা বাজারেও আমরা দ্রব্যমূল্য কমাতে পারি না, অসাধু ব্যবসায়ীদের ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে পারি না। নারী পাচার ও শিশু পাচারের মতো সামাজিক অপরাধের অবসান ঘটাতে পারছি না। মুদ্রা পাচার কিংবা ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বার বার ব্যর্থ হই। আমাদের অপরাধের জগৎ অত্যন্ত ব্যাপক ও শক্তিশালী। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের কার্যকারিতা নিয়ে সর্বত্রই এখন প্রশ্ন উঠছে। সবার অভিযোগ, গণমাধ্যম কেন এখনো এর গভীরে ঢুকতে পারছে না। এর অবশ্যই কতগুলো যুক্তিগ্রাহ্য কারণও রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশে প্রিন্ট মিডিয়ার অগ্রগতি নানা কারণে কিছুটা ব্যাহত হলেও আমাদের ইলেকট্র্রনিক মিডিয়ার জগৎ অনেক বিস্তৃত। তা হলে তারা কোন কোন মারাত্মক বিষয়গুলো উদঘাটনে ব্যর্থ হচ্ছে তা তাদেরই ভাবতে হবে। আজকাল গণমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনায় অনেক সংবাদকর্মীকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলই যথেষ্ট। সেখানে গণমাধ্যমকর্মী কিংবা সাংবাদিকদের দলনিরপেক্ষতার আদর্শ ছেড়ে রাজনৈতিক কর্মীর কাজ কিংবা দলবাজি করতে হবে কেন? এ ব্যাপারে চীনের মহান নেতা মাও জেডং একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার বিড়াল সাদা কিংবা কালো, সেটি কোনো মুখ্য বিবেচনার বিষয় নয়। মুখ্য বিচেনার বিষয় হচ্ছে, আমার বিড়াল ইঁদুর ধরতে পারে কিনা।’
মাও-এর উপরোক্ত এ উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিভিন্ন গণমাধ্যমের মালিক ও কর্মকর্তাদের কাছে দেশবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে, আপনাদের বিড়ালরা ইঁদুর ধরতে কতটা সক্ষম হচ্ছে? যদি আপনাদের বিড়াল এক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে থাকে, তা হলে এর পেছনে কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ‘টকশো’ দিয়ে আমাদের বিশেষ কোনো সমস্যারই সমাধান হতে দেখা যায় না। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা বাদ দিয়ে আমাদের সাংবাদিকদের-কেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে হবে, যাতে তারা তাদের পেশাগত দায়িত্বটুকু সাফল্যের সঙ্গে পালন করতে পারে।
লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com