ডেস্ক রির্পোট:- শুরুর হতাশা কাটিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরালেন তানজিম হাসান সাকিব। শেষ দিকে কার্যকর বোলিং করলেন তাসকিন আহমেদ শরিফুল ইসলামরা। কুসল মেন্ডিস আর জানিথ লিয়ানাগেকে থামিয়ে লক্ষ্যটা নাগালেই রাখল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার ২৫৬ রান।
৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার তানজিম। ৩টি করে শিকার ধরেছেন দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুলও।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস মন্তব্য করেছিলেন, এই উইকেটে ২৮০ থেকে ৩০০ রান যথেষ্ট স্কোর হবে। সেই হিসেবে খুশিই হওয়ার কথা বাংলাদেশের।
তাসকিন-শরিফুলকে হতাশ করে শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকেন লঙ্কান দুই ওপেনার। ৫৯ বলে ৭১ রানের দুর্দান্ত জুটিও পেয়ে যায় তারা। সময়ের সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জুটি বিচ্ছিন্ন করেই থামেননি তানচিম। নিজের টানা তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ফেরার লড়াইয়ে। বিনা উইকেটে ৭১ রান থেকে ৮৪ রানে ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
২৮ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ বানানের পরের ওভারেই ৩৩ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ রান করা আভিঙ্কা ফার্নান্ডোকে কট বিহাইন্ড করেন তানজিম। নিজের পরের ওভারে নতুন ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকেও (৫ বলে ৩) কট বিহাইন্ড করেন তিনি।
এরপর কুসল মেন্ডিসের সঙ্গে চারিথ আসালাঙ্কার ৪৪ রানের সতর্ক জুটি থামান মেহেদি হাসান মিরাজ। ১২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা মিরাজের বল মিস করে গেছে আউটসাইড-এজ হয়ে বোল্ড হয়ে যান আসালাঙ্কা।
কুসল মেন্ডিসের সাথে এরপর যোগ দেন জানিথ লিয়ানাগে। দুজনে গড়েন ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি। তাসকিনকে টেনে মারতে গিয়ে শান্তকে মিড অনে ক্যাচ দেন ৭৫ বলে ৫৯ রান করা কুসল মেন্ডিস।
মারকুটে ব্যাটার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মিাহিশ থিকসানাকে দ্রুত ফেরান তাসকিন। তবে অন্য প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন লিয়ানাগে। ৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৫০ বলে তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন এই মিডলঅর্ডার। শেষ পর্যন্ত এই ব্যাটারকে কট বিহাইন্ড করেন শরিফুল। ৬৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন লিয়ানাগে।
দুই দলের মধ্যকার আগের ৯টি ওয়ানডে সিরিজের মাত্র একটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তবে সেই সিরিজই আবার অনুপ্রেরণা হতে পারে বাংলাদেশের। দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সবশেষ সিরিজ ছিল সেটি। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। ৯টি সিরিজের ২টি হয়েছে ড্র।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৪৮.৫ ওভারে ২৫৫ (নিসাঙ্কা ৩৬, আভিশকা ৩৩, কুসাল ৫৯, সামারাউইক্রামা ৩, আসালাঙ্কা ১৮, লিয়ানাগে ৬৭, থিকশানা ১, মাদুশান ৮, কুমারা ৫*, মাদুশাঙ্কা ০; শরিফুল ৯.৫-১-৫১-৩, তাসকিন ১০-১-৬০-৩, তানজিম ৮.৪-০-৪৪-৩, তাইজুল ৮-০-৫৪-০, মিরাজ ১০-১-৩৩-১, সৌম্য ২.২-০-১১-০)
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com