ডেস্ক রির্পোট:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় বানরদের জন্য ২০০ একরের একটি মিনি-সিটি তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীর সদস্যরা। দ্য গার্ডিয়ানের মতে, গবেষণার উদ্দেশে ৩০ হাজার ম্যাকাক প্রজাতির বানরকে এই শহরে রাখা হবে। বৃহত্তম বানর-প্রজনন কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছে ‘সেফার হিউম্যান মেডিসিন’ নামে এক সংস্থা। যার পেছনে খরচ হচ্ছে ৩৯৬ মিলিয়ন ডলার। এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বিস্তীর্ণ শস্যাগারের মতো কাঠামোতে হাজার হাজার লম্বা লেজযুক্ত ম্যাকাককে একত্রিত করা এবং চিকিৎসা গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিতে পাঠানো। কিন্তু ১৫,০০০-এর কম জনসংখ্যার বেইনব্রিজের বাসিন্দারা প্রস্তাবিত শহর নির্মাণে বাধা দেওয়ার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছেন।
শহরের বাসিন্দা টেড লি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন -''তারা একটি আক্রমণাত্মক প্রজাতি এবং ৩০ হাজার বানর থাকলে আমরা বানরদের ভিড়ে চাপা পড়ে যাব। আমি মনে করি না যে কেউ পাশে ৩০,০০০ বানরকে নিয়ে থাকতে চাইবে।'' প্রাণী অধিকার গোষ্ঠীগুলিও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করতে একত্রিত হয়েছে, যুক্তি দিয়েছে যে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য প্রাইমেটদের প্রজনন করা নিষ্ঠুর প্রক্রিয়া।
হিউম্যান সোসাইটির জন্য প্রাণী গবেষণা বিষয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্যাথলিন কনলি বলেছেন -''বানর এবং মানুষ দুটি আলাদা প্রজাতি। তাই, তাদের উপর করা পরীক্ষা থেকে নতুন চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা পাওয়া যায় না। বরং, এই পদক্ষেপের ফলে, বনে থাকার অভ্যায় হারিয়ে ফেলছে এই বানররা।
এখানে, বিজ্ঞানের থেকে ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। PETA তার ওয়েবসাইটে বলেছে যে বেইনব্রিজের বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষ এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে যারা বানর-প্রজনন সুবিধা তৈরির পরিকল্পনা অনুমোদনের জন্য ভোট দিয়েছে। যদিও 'সেফার হিউম্যান মেডিসিন’ সংস্থাটি বলেছে যে বিশেষভাবে সাজানো গুদামগুলিতে ম্যাকাকগুলি অবাধে বিচরণ করতে এবং সামাজিকীকরণ করতে সক্ষম হবে। বানরগুলিকে অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা হবে এবং এলাকায় রোগ ছড়াবে না। বাসিন্দাদের কাছে একটি খোলা চিঠিতে সংস্থাটি বলেছে -''আমরা সকলেই আমাদের প্রিয়জনদের এবং নিজেদের জীবন বাঁচাতে এই প্রাইমেটদের উপর নির্ভর করি।'' শুধু তাই নয়, এই কেন্দ্রে ২৬০টিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে, যেখনে কাজের সুযোগ পাবেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। সূত্র : এনডিটিভি
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com