আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ইসরায়েলি হামলার সময় ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য গাজা সীমান্তে বিশেষ এলাকা তৈরি করছে মিসর। চার সূত্র এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। পুরোটাই কায়রোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার অংশ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে এ রকম কোনো প্রস্তুতি নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে মিসর। তবে তারা বেশ কিছুদিন ধরেই ইসরায়েল গাজার রাফায় হামলা চালালে বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করে আসছিল। একই বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছে আরেক আরব রাষ্ট্র জর্ডানও।
অন্যদিকে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উৎখাত করার বিরোধিতা করবে। এক সূত্র জানায়, মিসর আশাবাদী ছিল যুদ্ধবিরতির আলোচনায় কাজ হবে এবং এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে। তারা সীমান্তের ওই এলাকা তৈরি করছে সাময়িক ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে।
নিরাপত্তা সূত্রের তথ্যানুসারে, ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মরু এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে ওই স্থাপনা। একাধিক সূত্র বিষয়টি জানালেও কেউই নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
রাফায় হামলা না চালানোর জন্য ইসরায়েলকে একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ ওই মিসর সীমান্তের কাছের ওই শহরে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তাদের আর যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই।
কিন্তু ইসরায়েল হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে সরছে না। তারা বলেছে, তাদের সামরিক বাহিনী সেখান থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে আনবে। তারপর হামলা চালানো হবে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাফায় আশ্রয় নেওয়া দশ লাখেরও বেশি মানুষের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের উচিত হবে না রাফায় কোনো পরিকল্পনা ছাড়া অগ্রসর হওয়া।
ফিলিস্তিনিদের জন্য কায়রোর আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির কাজ তিন থেকে চার দিন আগে শুরু হয় বলে জানিয়েছেন এক সূত্র। এ বিষয়ে মিসরের রাষ্ট্রীয় তথ্যসেবার প্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি সত্য নয়। আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা বলেছেন এবং মিসর বলেছে যে, এ রকম কোনো প্রস্তুতি নেই।’
মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা সিনাই ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যান রাইটস গত সোমবার কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেগুলোতে এক এলাকায় নির্মাণ ট্রাক ও ক্রেন দিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও কংক্রিট ব্যারিয়ারের ছবি প্রকাশ করেছে তারা।
অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে সিনাই ফাউন্ডেশনও বলেছে, কোনো কারণে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ঢল শুরু হলে তা সামাল দেওয়ার জন্য ওই এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। ভিডিওর কিছু অংশ রাফায় ধারণ করা বলে চিহ্নিত করেছে রয়টার্স। তবে বাদবাকি অংশ কোথায় ধারণ করা বা কবে এটি ধারণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি।
৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মানুষকে খাদ্য ও ওষুধ সংকটে কষ্ট করতে হচ্ছে, ইসরায়েলি হামলার মুখে থাকতে হচ্ছে আতঙ্কে। সূত্র: রয়টার্স
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com