আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ভারতের উত্তরাখণ্ডে একটি মাদরাসা ও মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫০ জন।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় প্রদেশের হলদোয়ানি শহরে এ ঘটনা ঘটে। সহিংসতার জেরে হলদোয়ানি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, হলদোয়ানির মালিকাবাগ এলাকায় সরকারি জায়গায় একটি মসজিদসংলগ্ন চত্বরে ‘অবৈধভাবে’ একটি মাদরাসা খোলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসনিক অধিকারকরা তা ভাঙতে বুলডোজার নিয়ে হাজির হন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা মসজিদ-মাদরাসা ভাঙার কাজে বাধা দেন ও তারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন এবং তাদের গাড়িতে ভাঙচুর করেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হলে আশপাশের থানা থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যদের আনা হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার দফায় দফায় সংঘাত হয়।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মীনা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ মেনই ওই মাদরাসা ও মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ওই মসজিদ ও মাদরাসা ভাঙতে দলটিকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোয় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’ জনতাকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার (পিআইএল) শুনানি ছিল, যাতে মসজিদ-মাদরাসা ভাঙা বন্ধের আবেদন করা হয়। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করেন এবং ভাঙনকাজ অব্যাহত থাকে।
এদিকে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। সূত্র: এনডিটিভি ও ইনডিয়া টুডে
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com