বান্দরবান:- মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বন্ধ থাকায় বান্দরবানের সীমান্তবর্তী উপজেলা নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তের পরিস্থিতি এখন শান্ত। আতঙ্কে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা এখন ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এখনও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কোনো গোলাগুলির আওয়াজ পাননি স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু-ঘুমধুমের ওপারের তুমব্রু ও ঢেকিবুনিয়া ক্যাম্প দুইটি মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীর দখলে চলে যাওয়ায় পরে সেখানে এখন গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গতকাল এবং আজকে সকাল থেকে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা অনেকটা স্বাভাবিক আছে। গোলাগুলির আর তেমন কোনো শব্দ শোনা যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়দের বাড়িতে চলে যাওয়া বাসিন্দারা আবার এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা মিয়ানমারের ১০০ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে টেকনাফে নিয়ে গেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বিবেচনা করে তুমব্রু থেকে তাদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১০০ জনকে টেকনাফের হ্নীলাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হবে।
তিনি জানান, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষা চলাকালীন যদি সীমান্তে আবারও উত্তেজনা বাড়ে, তবে কেন্দ্রটি পরিবর্তন করে ১ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নম্বর উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com