খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়ি জেলার মাইছছড়িতে আলো প্রয়োগ করে ড্রাগন ফল উৎপাদন করছে খাগড়াছড়ি এগ্রো। ২০১৩ সালে ৪০টি পিলার নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে এই বাগানে চার হাজার পিলারে ১২ হাজার ড্রাগন গাছ রয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৫০০ গাছে লাইটের মাধ্যমে ড্রাগন উৎপাদন করা হচ্ছে। সাধারণত মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত ভরা মৌসুমে বাজারে ড্রাগন ফল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
বছরের বাকি সময় ড্রাগন পেতে হলে গাছে আলোর ব্যবস্থা করতে হয়। শীত মৌসুমে সন্ধ্যার পর গাছে ৩/৪ ঘণ্টা আলো প্রয়োগ করে ড্রাগন উৎপাদন করা যায়। অমৌসুমে লাইট দ্বারা ফলন ফলাতে খরচ একটু বেশি হলেও বাজার মূল্যও পাওয়া যাচ্ছে বেশি। তাই লাভবান হচ্ছে কৃষক।
খাগড়াছড়ি এগ্রোর ম্যানেজার মো. জুলহাস উদ্দিন জানান, ২০১৫ সালে দেশি বাল্ব ব্যবহার করে আমি চাষাবাদ শুরু করি সুফল পাইনি। পরবর্তীতে বাইরে থেকে বাল্ব এনে পুনরায় চাষ শুরু করি। প্রকৃতপক্ষে ড্রাগন ফলন দেয় ৬ মাস। কিন্তু এখন কৃত্রিম আলো দিয়ে সারা বছর ড্রাগন চাষ করছি।
পাহাড়ের ড্রাগন টনিকমুক্ত। জৈব সার এবং গোবর ব্যাবহার করে এই ফল ফলানো হয়। তাই খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। কিন্তু সমতলের কিছু কিছু কৃষক টনিক ব্যাবহার করে ফলের গ্রোথ বৃদ্ধি করে কম দামে বিক্রি করায় দামের দিক থেকে লোকসানে পড়ছেন পাহাড়ের ভেজালমুক্ত ড্রাগন ফল চাষিরা।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন জানান, কৃষকরা কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে সারা বছর ড্রাগন চাষ করতে পারবে। এতে করে উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি বাইরে থেকে আমদানি কমানো সম্ভব হবে।
ড্রাগন চাষ সম্প্রসারণে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, খাগড়াছড়িতে ৫৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। ২০২২/২৩ অর্থ বছরে জেলায় ২৫৪ মেট্রিক টন ড্রাগন উৎপাদন হয়েছে। ড্রাগনের সাইজ অনুযায়ী প্রতি কেজি ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা করে বিক্রি হয়। আমরা প্রযুক্তিগতসহ সবক্ষেত্রে কৃষকদের সহায়তা করছি।
লাল বর্ণের ড্রাগন ফলের এন্থোসায়ানিন উপাদান ক্যানসার এবং বার্ধক্য প্রতিরোধক হিসেবেও কাজ করে। এছাড়াও এর বীজ পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারী।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com