বান্দরবান:- বান্দরবানের আলীকদমে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ৬০০ ফুট উঁচুতে মারাইংতং পাহাড়। সেখানে তাঁবু খাঁটিয়ে ক্যাম্পিং (টেন্ট ক্যাম্পিং) ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে, সম্প্রতি মারপিটের ঘটনায় তাঁবু খাঁটিয়ে টেন্ট ক্যাম্পিং বন্ধ থাকলেও এবার শর্ত সাপেক্ষে টেন্ট ক্যাম্পিং করতে পারবেন পর্যটকেরা।
রোববার আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই সংক্রান্ত সভায় এ সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতাউল গনি ওসমানী।
উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য দুংড়িমং মার্মা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান, বিহার অধ্যক্ষ উ উইচারা মহাথে প্রমুখ।
জানা যায়, পর্যটকদের জন্য চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন থেকে ফের উন্মুক্ত হচ্ছে টেন্ট ক্যাম্পিং। এ জন্য মারাইতং চূড়ার নিরাপত্তার জন্য দুজন আনসার বা ভিডিপির সদস্য নিয়োগ, পর্যটক গাইড নিবন্ধন ও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ক্যাম্পিং করলে প্রতি রাতের জন্য একজন গাইডকে পর্যটকদের প্রদান করতে হবে ৯০০ টাকা। এর মধ্যে পর্যটকদের রাতে থাকা খাওয়া ও একজন গাইড থাকবে সঙ্গে।
আরও জানা যায়, আলীকদম থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের চূড়ায় একটি বৌদ্ধজাদী বা প্যাগোডায় বৌদ্ধধর্মীয় মেলা ঘিরে ২০১৪ সাল থেকে এই টুরিস্ট ক্যাম্প গড়ে উঠেছে। শীতের শুরু থেকে বর্ষার আগ পর্যন্ত এই তাঁবুবাস পর্যটন চলে। পাহাড়চূড়া থেকে মাতামুহুরি নদী, নদীর তীরে নকশিকাঁথার মতো ফসলের মাঠ, নীল আকাশের সঙ্গে পাহাড়ের মিতালি উপভোগ করা যায়।
জ্যোৎস্না রাতে তাঁবু খাঁটিয়ে আড্ডামুখর রাতযাপন, অনিন্দ্যসুন্দর প্রকৃতি উপভোগ, বনভোজন বা বারবিকিউয়ের অভিজ্ঞতা যে পর্যটকের হয়েছে, তিনি বারবার ফিরে আসতে চান এ পাহাড়ে। গত ১০ ডিসেম্বর পর্যটকদের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে মারাইতং চূড়ায় ক্যাম্পিং নিষিদ্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন। আর এর ফলে স্থানীয় শতাধিক যুবক কর্মসংস্থান হারায়।
এই বিষয়ে মারাইংতং বিহারাধ্যক্ষ উ উইচারা মহাথের বলেন, ‘মিটিংয়ে (সভায়) গাইডদের নিবন্ধনসহ পর্যটকদের বিষয়ে বেশ কিছু নিয়ম আরোপ করা হয়েছে। আশা করি, টেন্ট ক্যাম্পিংয়ে আর কোন সমস্যা হবে না।’
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান বলেন, ‘মারাইংতং চূড়ায় কিছু টুরিস্ট গাইড তাঁবুতে মদ, গাঁজা বিক্রি ও নারী উত্ত্যক্তের কারণে পর্যটকদের টেন্ট ক্যাম্পিং সাময়িক বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। এবার কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে তা উন্মুক্ত করা হবে।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com