ডেস্ক রির্পোট:- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ ও গঠিত মন্ত্রিসভা সংবিধান অনুযায়ীই হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এএম আমিন উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ আইন মানে না, সংবিধান মানে না। পাঁচ বছর মেয়াদ শেষের আগেই আবার ৩০০ জন শপথ নিয়েছেন। তাঁদের শপথ অসাংবিধানিক হয়েছে। এখন কি তাহলে দেশে সংসদ সদস্য ৬০০ জন? এ প্রশ্ন রেখে নতুন সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করতে আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা।
এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এর আগে ৬০০ জন এমপি হয়ে যাচ্ছে—এমন যুক্তিতে ২০১৯ সালে একটি রিট করা হয়েছিল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা আপিল বিভাগে গিয়েছিলেন, যা প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ খারিজ করে দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, তাঁরা নির্বাচিত হবেন, তবে কার্যভার গ্রহণ করবেন না। সংসদ সদস্য হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না আগের সংসদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত। সেটি বিবেচনা করে তাঁদের (তাহেরুল ইসলামের রিট) আবেদন খারিজ হয়। সর্বোচ্চ আদালত যখন ব্যাখ্যা দিয়েছেন এরপর তো আর কোনো ব্যাখ্যা হতে পারে না।
বর্তমান মন্ত্রীরা টেকনোক্র্যাট কি না—আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন এমন প্রশ্নও তুলেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী বাতিল করে দিয়েছেন। নিয়ম হলো, একটি মন্ত্রিসভা শপথ নিলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায় বা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর আগে একাদশ সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। পূর্ববর্তী সংসদ বাতিলের আগেই।
মাহবুব উদ্দিন খোকনকে ইঙ্গিত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তাঁরা (মাহবুব উদ্দিন খোকন) হয়তো সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়টি হয়তো তিনি পড়েননি। রায়টি পড়লে এই ভুল হতো না। সংবিধান অনুযায়ী সঠিকভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সঠিকভাবেই শপথ গ্রহণ হয়েছে, সঠিকভাবেই মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। সংসদ সদস্যরা যে শপথ নেন অন্য শপথের সঙ্গে এর একটি পার্থক্য আছে। তাঁরা বলেন, “আমি যে দায়িত্বভার গ্রহণ করিতে যাইতেছি, (ভবিষ্যতে যাব)।” শপথ নিতে হয় আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে। এটা নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন তোলে সেটা ভ্রান্ত ধারণা থেকেই, যেটা সঠিক নয়।’
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com