ডেস্ক রির্পোট:- বদলে যাওয়া দুবাই, ঝা চকচকা শহর। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে দেখা মেলে আকাশচুম্বি সব অট্টালিকার। এমনকি বিশ্বের সবচেয় উঁচু ভবন বুর্জ খলিফাও দুবাইতে অবস্থিত। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে বিলাসবহুল এই শহর। অনেকে তো রীতিমতো সেকেন্ড হোম বানিয়ে ফেলেছেন মরুময় দুবাইকে। ফলে দিনকে দিন বাড়ছে আবাসন সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বালুর চাহিদা। কিন্তু হাজার হাজার মাইলের মরুভূমিতে তো কোনোভাবেই বালুর সংকট হওয়ার কথা না। তবুও বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু কিনছে দুবাই প্রশাসন।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, টেকসই ও বিলাসবহুল অবকাঠামো তৈরি করতে যে ধরনের বালি প্রয়োজন তা আরব আমিরাতে নেই। সেখানকার বালি খুব মিহি। তা দিয়ে নির্মাণ সম্ভব নয়। মরুভূমির বালি কিছুটা ধুলির মতো। ক্রমাগত হাওয়ার সঙ্গে উড়ে যায়। এক কণা অন্য কণার সঙ্গে ঘর্ষিত হয়। সে কারণে বালি খুব মিহি হয়। তাই মরুভূমির বালি দিয়ে নির্মাণ হয় না। নির্মাণের জন্য প্রয়োজন তুলনায় মোটা বালি। তা পাওয়া যায় নদী বা সমুদ্র থেকে।
বালির আকারের ওপর নির্ভর করে তার ব্যবহার। মোটা বালির সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে সিমেন্ট মেশালে তা একে অপরের সঙ্গে আটকে থাকে। নির্মাণ শক্ত হয়। আর মরুভূমির মিহি বালি ঝরে পড়ে যায়। তাই বছর বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বালি আমদানি করতে হয় তাদের।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা তৈরির আগে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বালি আমদানি করেছিল আরব আমিরাত সরকার। অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছিল সেই বালি। শুধু নির্মাণ নয়, ইট, কাচ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বালি। পৃথিবীতে জলের পরেই প্রাকৃতিক সম্পদ হিসাবে সব থেকে বেশি ব্যবহার হয় এই বালি।
দুবাই কেন কোটি কোটি টাকার বালি কেনে?
বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে লুকিয়ে আলজেরিয়া থেকে ফ্রান্স
জানা যায়, ২০১৪ সালে ৪৫ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের বালি আমদানি করেছিল আবর আমিরাত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা পৃথিবীতে বালি খননকে ঘিরে যে ব্যবসা রয়েছে, তার পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি ডলার।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com