ডেস্ক রির্পোট:- আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজধানী ঢাকার ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের শরণাপন্ন হয়েছে পুলিশ। ভোটারদের ভোট দিতে উৎসাহিত করে কেন্দ্রে আনতে তাঁদের অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি সব রকম নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভোটারদের বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
গতকাল সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এসব জানানো হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা ও কাউন্সিলর এসব তথ্য জানান।
দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত মিলিয়ে ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। ডিএমপি বলেছে, কার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোন সমস্যা আছে, তা জানতেই কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই সভা হয়। সভায় নির্বাচনে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, ভোটে বাধা দিতে চায়—এমন সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থার জন্য কাউন্সিলরদের সহায়তা চেয়েছে ডিএমপি।
পূর্বনির্ধারিত সভাটি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই শুরু হয়েছিল। তবে শুরুতে কাউন্সিলররা পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলতে থাকলে সাংবাদিকদের সভা ত্যাগ করার অনুরোধ করা হয়। সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার কাউন্সিলরদের উদ্দেশে অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কাউন্সিলররা তথ্য দিলে এবং একসঙ্গে কাজ করলে সমাজ থেকে অপরাধীদের নির্মূল করা যাবে। অন্ততপক্ষে ৭ জানুয়ারি (নির্বাচনের দিন) পর্যন্ত তাদের দমন করে রাখা যাবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পার করতে পারলে দেশ একটি বিশাল সমস্যা উতরে যেতে পারবে।
মতবিনিময় শেষে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট দেওয়া বা না দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। যারা ভোট ঠেকাতে আসে, তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির।
কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোনো ঝুঁকি কিংবা নাশকতার তথ্য পেয়েছেন কি না—প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচন ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই। কাউন্সিলররা বলেছেন, তাঁদের এলাকার লোকজন ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন, সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।
সভায় অংশ নেওয়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম বলেন, ‘ভোটের আলোচনার বাইরে ঢাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা বক্তব্য থাকলেও আমরা একমত প্রকাশ করেছি। যৌথভাবে কাজ করব।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো না। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়, জিডি হয়। পুলিশ কিছু না বলেই সেগুলো নিয়ে নেয়। আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। তবে এমন মতবিনিময় হলে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো হয়।’আজকের পত্রিকা
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com