ডেস্ক রির্পোট:- ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফরিদপুর-৩ সদর আসনের একাধিক বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী। অপরজন ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। দুজন সম্পর্কে শ্বশুর-জামাতা। একাদশ সংসদে দুজনেই সংসদ সদস্য ছিলেন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা কেউই মনোনয়ন পাননি।
রোববার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৯৮ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।
এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ১১ জন।
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ) বর্তমান সংসদ সদস্য ও ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার পরিবর্তে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীকে মনোনয়ন দেয় দলটি।
ফরিদপুর-৩ আসনে খন্দকার মোশাররফ প্রথম নির্বাচন করেন ১৯৯৬ সালে। ওই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তিনি জিততে পারেননি।
পরে ২০০৮ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী হন। পরে তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হন। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সেই মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি খন্দকার মোশাররফের।
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com