খাগড়াছড়ি:- হরতাল ও অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতে। দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য হয়ে আছে জেলার সবকটি পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র। ফাঁকা রয়েছে হোটেল-মোটেলগুলো। এতে একদিকে যেমন মৌসুম শুরুতে পর্যটক হারাচ্ছে তেমনি আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে পর্যটক সংশ্লিষ্টদের। তাদের দাবি পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে পর্যটকদের চলাচলে হরতাল অবরোধমুক্ত রাখা। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিলে প্রশাসনের সহযোগিতা থাকবে।
খাগড়াছড়ির সবত্রই ছড়িয়ে রয়েছে নয়নাভিরাম হাজারো দৃশ্য। উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো অসংখ্য পাহাড়, সর্পিল রাস্তা, সবুজের সমাবেশের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে এখানকার বিভিন্ন বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র। যার সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারাবছরই পর্যটকদের বিচরণ থাকে এ জেলায়। প্রতি বছর এ সময় খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পর্টগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকতো। কিন্তু বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে আছে জেলার রিচাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্কসহ সবক’টি বিনোদন কেন্দ্র। চারিদিকে এখন যেন সুনসান নিরবতা।
হরতাল অবরোধেরর কারণে বেকার সময় পার করছেন বিনোদন কেন্দ্রের দায়িত্বপালনকারীরা। পর্যটক না আসায় চাকা ঘুরছেনা পরিবহনের। পর্যটক মৌসুমে পর্যটক না থাকায় হতাশ পর্যটকবাহী পরিবহন চালক-শ্রমিকরা। লোকসানের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধে পর্যটক চলাচলে সহায়তা চান তারা।
খাগড়াছড়ি হোটেল ব্যবসায়ী সমতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা পর্যটন শিল্পকে হরতাল অবরোধমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর্থিক লোকসান গুনছেন পর্যটন খাত নির্ভর ব্যবসায়ীরা। কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারছে না অনেক হোটেল মালিক। পর্যটক নির্ভর যানবাহনের চালক ও মালিকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তাধর বলেন, সম্মিলিতভাবে জনগণকে সচেতন করতে এগিয়ে আসলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। প্রয়োজনে জেলার বাইরেও সমন্বয় করে সার্বিক ব্যবস্থার নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে দেশে দ্রুত রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান হয়ে পর্যটন খাত নতুন রুপ ফিরে পাবে এমনটাই প্রত্যাশা খাগড়াছড়িবাসীর। পার্বত্য নিউজ
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com