ডেস্ক রির্পোট:- একের পর এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা। সেখানে বেড়েই চলেছে লাশের সারি। এই ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৯০০ জনে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শক্তিশালী ৭.৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজর ৮৯০ জনে।
এর মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত শুধু তুরস্কে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে, তিন হাজার ৩৮১ জনে। আহত হয়েছে ২০ হাজার ৪২৬ জন। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা ওরহান তাতার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভূমিকম্পে তুরস্কে ১১ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, একই ঘটনায় প্রতিবেশী সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০৯ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে তিন হাজার ৫৪৮ জন। সিরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা এবং বিরোধীরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাস প্রদেশে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিগত একশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮ এবং এর উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪.১ কিলোমিটার গভীরে।
তবে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং উৎপত্তিস্থল ছিল পাজারচিক জেলায়। এটি ঘটে ৭ কিলোমিটার গভীরে।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিয়ারবাকির ও গাজিয়ানটেপসহ অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব প্রদেশ এবং লেবানন ও সিরিয়া, সাইপ্রাসসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে আফটারশকগুলো কয়েক ঘণ্টা এবং এমনকি কয়েক দিনও অব্যাহত থাকতে পারে। সূত্র: সিএনএন
সম্পাদক : এসএম শামসুল আলম।
ফোন:- ০১৫৫০৬০৯৩০৬, ০১৮২৮৯৫২৬২৬ ইমেইল:- smshamsul.cht@gmail.com
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com