রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের ডুবোচরে আটকে পড়া ১৭৫ পর্যটককে উদ্ধার করলো পুলিশ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪০৭ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের ডুবো চরে আটকে পড়া ১৭৫ পর্যটককে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে কাপ্তাই হ্রদের মধ্যবর্তি স্থানে জেগে উঠা ডুবোচরে আটকে থাকা পর্যটকদের সকলেই চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

আটকে পড়া পর্যটকরা ৯৯৯ এ কল করলে বিষয়টি রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদকে অবহিত করা হয়। সাথে সাথেই রাত আটটার সময় সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি জাহিদুল ইসলাম ও কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশ ও নৌপুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নতুন আরেকটি লঞ্চের মাধ্যমে ১৭৫ জন পর্যটককে নিরাপদে সুস্থাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবু মো হানিফ জানান, আমরা শিক্ষক পরিবার ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণে বের হই। গন্তব্য ছিল সুবলং। যাওয়ার পথে আমাদের লঞ্চ আটকা পড়ে। অনেক চেষ্ট করেও লঞ্চটি চর থেকে নামানো যায়নি। এক পর্যায়ে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। পরে আমরা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের স্মরণাপন্ন হই। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে আমাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।

রাঙ্গামাটি সদর সার্কেলের এডিশনাল এসপি জাহিদুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিষয়টি জানার পরপরই প্রথমে লোকেশন শনাক্ত করি আমরা। এরপর উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। যে লঞ্চটি ডুবোচরে আটকা পড়ে সেটি চর থেকে নামানো যায়নি। বিকল্প একটি লঞ্চে করে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসি। তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কেন তাদের অন্য আরেকটি লঞ্চ দিয়ে আটকেপড়াদের ফিরিয়ে আনলো না, এবং এই বিষয়ে কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখবে পুলিশ।

এদিকে, পাহাড়ি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠির তৎপরতার কারনে অস্থিতিশীল পরিবেশের কারনে প্রচন্ড রকম ভয় পেয়েছিলেন মন্তব্য করে আটকে পড়া পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আমরা রাঙ্গামাটি ঘুরে বিকেলেই চট্টগ্রামের উদ্যোশে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও হ্রদের মাঝখানে ডুবোচরে আটকে পরার পর আমরা বিকল্প একটি লঞ্চ দিয়ে আমাদের তীরে নিয়ে আসার আঁকুতি জানালেও সেটিতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের কর্ণপাত করেনি। ফলে রাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে।

আটকেপরা লঞ্চ এমএল আজমির এর মিস্ত্রি মিন্টু জানিয়েছেন, আটকে পড়ার পর আমরা আরেকটি লঞ্চ নিয়ে এসে সেটি দিয়ে চেষ্ঠা করেও আটকেপড়া লঞ্চকে উদ্ধার করতে পারিনি। কিন্তু উদ্ধার করতে আসা লঞ্চটি ছোট হওয়ায় সেটিতে পর্যটকরা না উঠায় আমরা নিয়ে আসতে পারিনি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions